মালদহ: ফের ভুয়ো রেশন কার্ড (Fake Ration Cards) চক্রের হদিশ মালদহে। ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল খোদ ডিলারের বিরুদ্ধে। রেশন ডিলারের (Ration Dealers Accused ) বিরুদ্ধে ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরির অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে রেশন সামগ্রী চুরি করছিল অভিযুক্ত রেশন ডিলার এমনটাই দাবি স্থানীয় গ্রাহকদের। অবশেষে গ্রাহকেরা বিষয়টি জানতে পরই খাদ্য নিয়ামক দফতর ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ মালদহ জেলা খাদ্য দফতরে নিয়ামকের। তদন্তে নেমে ওই ডিলারকে সাসপেন্ড করে খাদ্য দফতর। জরিমানা করা হয় ৮ কোটি টাকা। যদিও অভিযুক্ত ওই ডিলার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছেন অভিযুক্ত ওই ডিলার।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগ মালদহ কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের বাবরবোনা গ্রামের প্রায় চার হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড (Fake Ration Cards) বানিয়ে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ করেছে রেশন ডিলার সইফুদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই তার রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ করছিল। গ্রাহকদের অভিযোগ অভিযুক্ত ওই রেশন ডিলার পরিবার পিছু কোথাও দুইটি আবার কোথাও চারটি ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরি করেছেন। সেই কার্ড নথিভুক্ত করে দফতর থেকে অতিরিক্ত রেশন সামগ্রী তুলছেন। তারপর অতিরিক্ত রেশনের সামগ্রী গুলি ডিলার নিজের কাছে রেখে দিচ্ছেন।
এদিকে গ্রাহকেরা দাবি করে তারা সঠিক পরিমাণে রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন। ফলে গ্রাহকদের কোন রেশন সামগ্রী কম না দিয়েও অতিরিক্ত ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে এই ভাবেই রেশনের সামগ্রী দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছিলেন অভিযুক্ত। প্রায় চার হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ করছে। গ্রামবাসীদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না তাদের। তাঁরা অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা করা হোক, দাবি গ্রাহকদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ মেনে সম্প্রতি ওই ডিলারের বাড়িতে হানা দিয়ে চার হাজারেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ১১ জেলায় বৃষ্টি, বাড়বে তাপমাত্রা! বড়দিনের আগেই হাওয়াবদল?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একা রেশন ডিলার নয়, এই ঘটনার সঙ্গে খাদ্য দফতরের একাংশ আধিকারিকও জড়িত। অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা খাদ্য দফতরের নিয়ামক। রেশন ডিলারশিপ সইফুদ্দিন আহমেদ নামে থাকলেও বর্তমানে তার ছেলে সামিন হোসেন ডিলারশিপ চালায়। সাইফুদ্দিন আহমেদের ছেলে সামিন হুসেন জানান, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন আমরা সততার সহিত ব্যবসা করি । আমরা রেশন খাদ্য সামগ্রী বন্টনের ক্ষেত্রে সরকারের যা নিয়ম রয়েছে আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী গ্রাহকদের মধ্যে বন্টন করে থাকি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদহ জেলা খাদ্য দফতরের খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস জানান অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে তদন্তে অভিযোগের যদি সত্যতা থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্য খবর দেখুন