কলকাতা: মিসেস সেন, তিনি মহানায়িকা। তিনি শুধুমাত্র রুপোলি পর্দার কোনও চরিত্র নন। তাঁকে ঘিরে রয়েছে আস্ত এক রূপকথা। বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে অলংকৃত করেছেন তাঁর অসাধারণ অভিনয়, সৌন্দর্য ও প্রতিভা দিয়ে। সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) আপামর বাঙালি চিরন্তন ভালবাসা। আজ ১৭ জানুয়ারি মহানায়িকার মৃত্যুবার্ষিকী। প্রায় ১১ বছর রমা নেই…সেই ক্ষতি অরূরনীয়।
সুচিত্রা সেন, তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের স্বপ্নের নায়িকা। বাংলা ছবিতে সুচিত্রা-উত্তম (Uttam & Suchitra) যুগলবন্দি পেয়েছিল আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। ২০১৪ সালের ১৭ই জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই তিলোত্তমা নাগরীতে মহানায়িকার জীবনাবসান হয়। কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর তিন সপ্তাহ আগে ফুসফুসের সংক্রমণের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর কন্যা মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রিয়া সেন ও রাইমা সেন মহানায়িকার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয় জগতে এসেছেন। গত বছর বাংলা ছবির এই হার্টথ্রব অভিনেত্রীর বায়োপিকে তাঁর চরিত্রে নাতনি রাইমা সেনকে দেখা গিয়েছিল। দিদিমার চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে যথেষ্ট গর্বিত ছিলেন রাইমা।
আরও পড়ুন:অবশেষে ‘পদাতিক’ ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে
সুচিত্রার অভিনয় জীবন যে কোনও অভিনেত্রীর কাছে শিক্ষণীয়। সুচিত্রা সেন তার অভিনয়শৈলী ও দক্ষতা প্রদর্শন এর মাধ্যমে বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন। শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশেও তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। মহানায়িকার অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের দেবদাস ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সঙ্গে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়িকা ছিলেন তিনি।১৯৬৩ সালে ‘সাত পাকে বাঁধা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর জন্য রোপ্য পুরস্কার পান তিনি। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে ভারত সরকার। আজ মৃত্যু দিবসে তাঁর অগণিত ভক্তদের পাশাপাশি পরিবারের লোকেরা তাঁকে বিনম্রভাবে স্মরণ করেছেন।
অন্য খবর দেখুন