কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Hospital Incident) নিয়ে নবান্নে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের (Health Secretary Narayan Swaroop Nigam) সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হাসপাতালগুলিতে কি অবস্থা, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে সেই রিপোর্ট নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ডাক দিয়েছে। আরজি কর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও পরিজনদের। এই সব নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এদিন বৈঠকে আরজিকরের পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
শুধু আরজি কর নয় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালগুলোতে দেখা সিসিটিভির নজরদারি সব জায়গায় নেই। সঠিক পরিকাঠোও নেই। নেই মহিলাদের জন্য রেস্ট রুম, চেঞ্জিং রুম। তার মধ্যেই চিকিৎসক, নার্স থেকে পরিষেবা দিয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে আরজি করের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে হাসপাতালে রোগী থেকে চিকিৎসক কেউ নিরাপদ নয়। পাশাপাশি আন্দোলনরত চিকিৎসকরা রাজ্যের দাবি করেছেন, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারি, নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন, পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার ঘরের বন্দোবস্ত করতে হবে। এরপরই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টও নেওয়া হয়। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেব। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
আরও পড়ুন: আরজি করের অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে তলব লালবাজারের
নিজেদের সহকর্মীর হঠাৎ কর্মক্ষেত্রেই তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু। মেনে নিতে পারছেন না আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকরা। ক্ষোভে ফুঁসছেন আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকরা। বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিসহ একাধিক দাবি তুলেছেন তাঁরা। আগেই আরজি করের ঘটনায় অপরাধীর ফাঁসির শাস্তি চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নির্যাতিতার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলতে সোদপুরের বাড়িতে যান মমতা। তিনি জানান,আগামী রবিবারের মধ্যে পুলিশ যদি কিনারা করতে না পারে তাহলে সিবিআইকে তদন্তাভার দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রহস্যের কিনারা করতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আমরা ফাঁসির আবেদন জানাব। আজ অধ্যক্ষ নিজেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের হেড অব দ্যি ডিপার্টমেন্টকেও সরিয়েছি। পুলিশ পোস্টের যে এসিপি ছিলেন তাঁকে সরিয়ে দিয়েছি। সবাইকে সরানো হয়েছে। ডগস্কোয়্যাড ও ফরেন্সিক সকলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। যাতে খুনি গ্রেফতার হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়।
অন্য খবর দেখুন