নয়াদিল্লি: দুদিনে তিনবার পিছিয়ে যাওয়ার পর আজ আরজি কর (RGKar) মামলায় শুনানি হল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যেতে চেয়ে আবেদন জমা পড়ে, কিন্ত সেই আবেদনে সাড়া দিল না প্রধান বিচারপতি ডি-ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালত স্পষ্ট করে দেয়, মণিপুরের ক্ষেত্রে সম্প্রতি আমরা শুনানি অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু এই মামলার ক্ষেত্রে তেমন কিছু করা হবে না। এই মামলাকে ঘিরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে জানিয়ে মামলা স্থানান্তরের আবেদনে বাংলাতেই শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেয় বেঞ্চ।
আদালতে এক আইনজীবী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিচার ব্যবস্থা এবং পুলিশের উপর ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে। আইনজীবীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কার পক্ষের হয়ে হাজির হয়েছেন তা জানতে চায় আদালত।
আরও পড়ুন:শুরু আরজি কর মামলার শুনানি, স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, এরকম ভিত্তিহীন বক্তব্য যেন পেশ না হয়। এখানে ক্যান্টিনের আড্ডা চলে না।
আইনজীবীর সওয়াল সিবিআই সঠিক পথে তদন্ত চালাচ্ছে না। উল্টে রাজ্য পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করছে।
এক আইনজীবীর এমন অভিযোগের জবাবে প্রধান বিচারপতি জানান, মনে করলে নিম্ন আদালতের বিচারক নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে সেই আদালতের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করবে না।
উল্লেখ্য, সিবিআই এদিন তার স্ট্যাটাস রিপোর্টে জানিয়েছে, ৪ নভেম্বর শিয়ালদহের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ১১ নভেম্বর থেকে সরকারি সাক্ষ্য প্রদানের দিন ধার্য হয়েছে।
অন্যদিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে পেশাজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত গঠিত ন্যাশনাল ট্রাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট এদিন পেশ হয়। সেই রিপোর্টের প্রতিলিপি মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে দেওয়ার নির্দেশ। একই সঙ্গে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সরকারকেও দেওয়ার নির্দেশ।
দেখুন অন্য খবর: