কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপত্তা চেয়ে কর্মবিরতির (Doctor Protest) ডাক দিয়ে আন্দোলনে বসেছেন। শুধু এ রাজ্যে নয় দিল্লি, চণ্ডীগড়, হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন শহরে এই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মবিরতি প্রভাব ফেলছে চিকিৎসা পরিষেবায়। সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর, এমারজেন্সি বিভাগও প্রায় বন্ধ। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে রোগীদের। এই অবস্থায় রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে স্বাস্থ্যসচিব (Health Secretary) নারায়ণস্বরূপ নিগম (Health Secretary Narayan Swaroop Nigam) আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে চিকিৎসকদের পরিষেবা সচল রাখার আবেদন করেন।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। কলকাতার এনআরঅস, কলকাতা মেডিক্যাল, আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনে বসেছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলিতেও কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি বিভাগেও চিকিৎসকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। বন্ধ হাসপাতলের আউটডোর। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন অব্যাহত। আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। চুঁচুড়া ইমামবারা হাসপাতালে ওপিডি-তে কাজ করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ। বন্ধ আউটডোর।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের
চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে কলকাতা সহ রাজ্যে সমস্ত হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নারায়ণস্বরূপ নিগম সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকে সমর্থন জানান। পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরিষেবা চালু রাখার আবেদন জানালেন। তাঁর আবেদন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য সরকারি তৎপরতা রয়েছে। চিকিৎসকদের সমর্থন চাই।
অন্য খবর দেখুন