কলকাতা: আরজি করের (R G Kar Hospital Incident) তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর সেকথা মেনে নিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Kumar Goyal Police Commissioner of Kolkata)। তিনি বলেন, শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে। এই ঘটনায় মূল অপরাধী হিসেবে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকেই মূল অভিযুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে তদন্ত এগনো হচ্ছে। আরও কেউ যুক্ত কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু তথ্য প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে সবটা এখনও প্রকাশ করা হবে না।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপি বিনীত গোয়েল জানান, তরুণী চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তারপর তাকে খুন করা হয়। আরজি করের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত যাতে হয় তা আমি দেখব। কলকাতা পুলিশ সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে পরিবার অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে চাইলে তাতে কোনও আপত্তি নেই। দোষী সর্বোচ্চ অপরাধী। আমরা দেখব যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।
আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীদের সমর্থন, ফাঁসির পক্ষে মমতা
সিপি বলেন, পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফি করার সময় পরিবারের সদস্য এবং ছাত্ররা সাক্ষী হিসাবে ছিলেন। তরুণী চিকিৎসক ঘটনায় শুক্রবার মাঝরাতে সঞ্জয় রায় নামে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় সিভিক ভলান্টিয়ার। শুক্রবার চেস্ট ডিপার্টমেন্টের নিরাপত্তার কাজে ছিলেন। ওই বিভাগের সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) সঞ্জয়কে করিডরে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। রাতে তাকে সেমিনার হলে ঢুকতে গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ওই ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মদ খেয়ে ছিলেন। রাত ৪টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত সেমিনার হলে ছোকার সময় গলায় হেডফোন ছিল। যখন হল থেকে বেরোছে তখন গলায় ব্যান্ড ছিল না। পুলিশের আরও অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করেন, তারপর তাঁকে খুন করা হয়েছে, তারপর আবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত।
দেখুন ভিডিও