কলকাতা: আরজি করের (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর পরই, সেমিনার রুমের সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙা হয়। যে ঘরে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই ঘর সংলগ্ন শৌচাগার সংস্কারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই নিয়ে এবার নয়া তথ্য সামনে এল। হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) নির্দেশেই সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙা হয় বলে জানা যায়। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঠিক পরের দিনই দেওয়া হয়েছিল ওই নির্দেশ। এমনকি হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সংস্কারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা।
আরজি কর হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসককের দেহ উদ্ধার হয় গত ৯ অগস্ট। অভিযোগ মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল। এর পর ১২ অগস্ট সেই চারতলার সেমিনার হল সংলগ্ন এলাকায় সংস্কারের কাজ চলছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের বাধায় পরে বন্ধ হয়ে যায় সংস্কারের কাজ। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙার অভিযোগ ওঠে। এই মামলার সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেই সময় পূর্ত দফতর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে। নির্দেশের যে প্রতিলিপি সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: কী রয়েছে সিবিআইয়ের রিপোর্টে?
জানা গিযেছে ওই সংস্কারের জন্য আরজি কর কর্তৃপক্ষের থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, আরজি করে কর্তব্যরত পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে ওই চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ। পূর্ত দফতরকে লেখা সন্দীপের একটি চিঠির প্রতিলিপি সামনে এসেছে। যদিও সেই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি। ঘরটার তিনদিন পরই অর্থাৎ ১২ অগস্ট জরুরি ভিত্তিতে আরজি করের বিভিন্ন বিভাগে ডক্টরস’ রুম এবং লাগোয়া শৌচালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার সম্মতিতেই শৌচাগার ভাঙা হয় বলে সন্দীপের সই করা অর্ডারের কপিতে ধরা পড়েছে। সন্দীপের একার সিদ্ধান্তে নয়, বরং চিকিৎসকদের ডিউটি রুম এবং অ্যাটাচড টয়লেট সংস্কারে স্বাস্থ্যভবনই সম্মতি দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আর এতেই জোরালো হয়েছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও।
দেখুন ভিডিও