কলকাতা: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও ২ জুনিয়র ডাক্তার (Hunger Strike of Junior Doctors)। ডাক্তার রুমেলিকা কুমার ও স্পন্দন মণ্ডল যোগ দেন অনশনে। এদিন আন্দোলনরত ডাক্তাররা রাখি বন্ধন পালন করনে। ১০ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎকরা। গত ৬ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের (North Bengal Medical College and Hospital ডাক্তাররাও অনশনে বসেছেন। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষও। স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরারা প্রথম দিন থেকে অনশনে বসেছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন অনশনরত অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং তনয়া পাঁজা। গুরুতর অসুস্থ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অনশনরত চিকিৎসক সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তা কাটবে কবে, প্রশ্ন উঠেছে।
আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। গতকাল দ্রোহের কার্নিভালে ধর্মতলা চত্বর প্রতিবাদীদের দখলেই চলে গিয়েছিল। দ্রোহের কার্নিভালের সামিল হয়েছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হলেন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। এদিকে ধর্মতলা চত্বরে মানববন্ধনে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: মা তারার আবির্ভাব তিথি তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তের ঢল
আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। তার মধ্যেই ঘোষণা হল বিধানসভা উপনির্বাচন। তেরোই নভেম্বর ভোট হবে নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট এবং কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে পাঁচটা কেন্দ্রই ছিল তৃণমূলের দখলে। আরজি করে প্রভাব ভোটে পড়বে কি না তা সময়ই বলবে।
অন্য খবর দেখুন