কলকাতা: উৎসবের মরশুমে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Hunger Strike of Junior Doctors)। সপ্তমীর সন্ধ্যায় ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশনস্থল উতপ্ত হয়ে উঠল। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় ‘অভয়া পরিক্রমা’য় বাধা দেয় পুলিশ। সপ্তমীর সন্ধ্যেয় মিছিলে আপত্তি পুলিশের। যদিও পুলিশের সেই বাধাকে উপেক্ষা করেই একের পর এক পুলিশের গার্ডরেল সরিয়ে দেন মিছিলকারীরা। কাঁসরের তালে তালে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখরিত মিছিল। আন্দোলনকারীরা বলেন, বাধা আমরা প্রতিবারই পেরোব। সরকারের পক্ষ থেকে অনৈতিক যেগুলি করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। ফলে কীসের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রতিবার আটকানো হবে? এটাই আমরা জানতে চাই পুলিশের কাছে।’
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ১১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। অনিকেত মাহাত সহ বাকি ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার তরফে পুলিশের একটা টিম ধর্মতলায় পৌঁছয়। অনশনকারীদের হাতে চিঠি দেওয়া হয়পুলিশ। তাতে বলা হয়, অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পুলিশের তরফে অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু অনশনকারীরা তা প্রত্যাহার করছেন। চিঠিতে এই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথাও অনশনকারীদের বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনিকেত, অবস্থা আশঙ্কাজনক
মহাসপ্তমীর সন্ধ্যা প্রবল ভিড়ের মাঝে ‘অভয়া পরিক্রমাকে (Abhaya Porikrama College Square) ঘিরে অশান্তি ছবি ধর্মতলাতে। ধর্মতলার পর কলেজ স্কোয়ারে ‘অভয়া পরিক্রমা’য় বাধা। পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধস্তাধস্তি। মিছিলকারীদের পুজো মণ্ডপে ঢুকতে দিতে চান না বলেই সাফ জানালেন কলেজ স্কোয়ারের পুজো উদ্যোক্তারা। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দেন। তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান ধর্মতলায় আসা সাধারণ মানুষও। ব্যাপক ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। মিছিলে চোখে পড়ল, এক ৭৫ বছরের চিকিৎসক আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যারিকেড ঠেলে সরাচ্ছেন। তিনি বললেন, “মরে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্তও, যদি আমি চলতে পারি, এটাই করব।
অন্য খবর দেখুন