ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার রাতে ফের রাশিয়ার (Russia) ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠল ইউক্রেনের (Ukraine) জাপোরিঝিয়া (Zaporizhzhia)। একের পর এক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজনের, আহত অন্তত ১৪ জন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও হামলা বন্ধ রাখেনি রাশিয়া। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, রাতভর শহরের একাধিক এলাকায় রুশ ড্রোন আঘাত হেনেছে, যার ফলে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানে আগুন লেগে যায়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে রাশিয়ার তরফে মোট ১২টি ড্রোন পাঠানো হয় জাপোরিঝিয়ার দিকে। আঞ্চলিক প্রশাসক ইভান ফেডোরোভ জানান, বিস্ফোরণের ফলে বহু বসতবাড়ি ও দোকান পুড়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন বহু বাসিন্দা। উদ্ধারকারী দল পৌঁছনোর পর একে একে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। সেখানেই একটি পরিবারের তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সেনা শাসনের দিকে বাংলাদেশ? ঢাকায় এগোচ্ছে পদাতিক বাহিনী
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, শুক্রবার রাতভর হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে মোট ১৭৯টি ড্রোন ও ডিকয় গুলি ছোড়া হয়। তবে কিয়েভের দাবি, তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ১০০টি ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ইউক্রেনের ৪৭টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে রুশ সেনা।
এদিকে, প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা (USA)। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। হোয়াইট হাউস (White House) সূত্রে খবর, ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চাইলেও তাতে সম্পূর্ণ সম্মতি দেননি পুতিন। তবে আগামী ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিকেন্দ্রগুলিতে হামলা চালানো হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এই প্রস্তাব নিয়েই সোমবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) বৈঠকে বসতে চলেছে ইউক্রেন ও আমেরিকা। সেখানেই রাশিয়ার আংশিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ওই বৈঠকের পর আলাদাভাবে মার্কিন মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে আলোচনা করবে ক্রেমলিন (Kremlin)। তারপরই যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে জাপোরিঝিয়ায় অবস্থিত। এটি দেশের অন্যতম প্রধান তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও বটে। আর সেখানেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, যা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
দেখুন আরও খবর: