ওয়েব ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ট্রাম্প বলেছেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেই চেষ্টা তিনি করবেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের সব মিত্র দেশের মধ্যে চিন্তায় আছে দক্ষিণ কোরিয়া। তার কারণ হলো, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যতা। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, ক্ষমতা নেওয়ার আগেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের দলের সদস্যরা কূটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থাও ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিমের সঙ্গে মোট তিনটি বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প। যার মধ্যে একটি হয় সিঙ্গাপুরে, দ্বিতীয়টি ভিয়েতনামের হ্যানয়তে আর অন্যটি দুই কোরিয়ার সীমান্তে। সেই সময় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়াতে পা রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভ্রুকুটির শিকার জর্জিয়া
যদিও তাদের আলোচনা ফলপ্রসু ছিল না। ট্রাম্প কিন্তু কিমকে রাজি করাতে পারেননি পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য। তবে তিনি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সাম্রাজ্যবাদী এই দেশ থেকে অনেক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকে তার মানে হল এই অঞ্চলে ক্ষমতার সমতা থাকা। যে কোনো যুদ্ধ লাগার আগে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে মাঝে মাঝেই অবস্থানেএ থাকবে সিউল। তবে উত্তর কোরিয়া যদি পরমাণু শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠে তাহলে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। আর তাহলেই ভেস্তে যাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি।
দেখুন আরও খবর: