মুম্বই: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষত, ভোটদানের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত শতাংশের মধ্যে ৭.৮৩ শতাংশ ফারাক নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা। কারণ, নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যে, রাজ্যে মোট ৫৮.২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে চূড়ান্ত হিসেব প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ভোটদানের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬.০৫ শতাংশ। এই অস্বাভাবিক পার্থক্য প্রায় ৭৬ লক্ষ ভোটের ফারাক তৈরি করে দিয়েছে। বিশিষ্ট রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ প্রভাকর এই বিষয়ে বলেন, সাধারণত প্রাথমিক ও চূড়ান্ত হিসেবের মধ্যে ১ শতাংশের বেশি ফারাক হয় না। প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি একে ‘চিন্তাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফর্ম ১৭সি অনুযায়ী প্রতি বুথে ভোটদান সংক্রান্ত ‘রিয়েল টাইম ডেটা’ রেকর্ড করা হয়। তার পরেও এত বড় ফারাক কীভাবে তৈরি হল, তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে জটিলতা, সামনে এল নতুন নাম
বিরোধীরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দাবি করেছেন, ইভিএমের পরিবর্তে আবার ব্যালট পেপারে ভোট হওয়া উচিত। তবে, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সমস্যা ইভিএম নয়, বরং ভোটগণনার সময়ে প্রক্রিয়ার কারচুপি। তার মতে, ইভিএম-এ জাল ভোট যোগ হতে পারে, ঠিক তেমনই ব্যালট পেপারে জাল ভোটের সম্ভাবনাও থাকে। প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩৫টি আসনে জয়লাভ করেছে, যার মধ্যে বিজেপি একাই ১৩২টি আসন জিতেছে। অন্যদিকে, এমভিএ অর্থাৎ মহা বিকাশ আঘাদি জোট মাত্র ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। তবে মহাযুতির জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
দেখুন আরও খবর: