পাঞ্জাব: পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ছে ড্রোনের উপদ্রব। পরিসংখ্যান অন্তত তেমনটাই বলছে। ২০২৩ সালে ভারতের সীমান্ত এলাকায় প্রায় ১০৭ টি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তবে চলতি বছর এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে ২০০ অতিক্রম করেছে। কিন্তু সীমান্তে ড্রোনের আনাগোনা কেন বাড়ছে? এর নেপথ্যে পাকিস্তান বা চিনের মতো প্রতিবেশী দেশের কি কোনও হাত রয়েছে? বিএসএফের এক আধিকারিকের মতে, পাকিস্তানের কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে মাদক ও অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে। তারা ভারতীয় তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্তি ছড়িয়ে দেওয়া এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এইসব অসাধু কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লার অস্ত্রাগারে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র ‘এডি ৪০’, ইজরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ!
বিএসএফ সূত্রে আরও খবর, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী একাকায় আরও চারটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই মাদক ও অস্ত্র বহনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সম্প্রতি, ১ নভেম্বর অমৃতসরের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে দু’টি ড্রোন এবং ৫৭০ গ্রাম মাদক উদ্ধার করেছে বিএসএফ। উদ্ধারকৃত ড্রোনগুলির মধ্যে অধিকাংশই চিনে তৈরি বলে জানিয়েছে বিএসএফ। পাচারকারীরা এই ড্রোনগুলিকে মূলত মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচারের কাজে ব্যবহার করছে বলে জানায় বিএসএফ। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, এই ড্রোনগুলিকে আকাশে শনাক্ত করার পর গুলি করে নামানো হয়। পাশাপাশি, কিছু ড্রোনকে মাঝ আকাশে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে অকেজো করে ফেলা হয়েছে। তবে বাড়তে থাকা ড্রোনের উপদ্রব নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের কাছে।
দেখুন অন্য খবর: