নাইনটিজের ছেলেমেয়েদের জীবনের অন্যতম নস্টালজিক মুহূর্ত গান বা ছড়া শুনিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানো বা কান্না থামানো। কিন্তু এখন সেসব দিন চলে গিয়েছে। বাচ্চা ভুলানো বা খাওয়ানো সবটাই হয় স্মার্টফোনে। ধীরে ধীরে শিশুরাও মুঠোফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আধুনিক মডেলের স্মার্টফোন কারোর সাহায্য ছাড়াই ব্যবহার করতে পারে শিশুরা। আর অতি অপ্রয়োজনীয় স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন জটিল সমস্যা। এই মুহূর্তে ৯২ শতাংশ লোকের হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন। ছোটরা দিনে গড়ে ৩ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে। প্রি-স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে ৮৬ শতাংশের আসক্তি মোবাইলে। সমীক্ষা বলেছে, ১০ জনের মধ্যে ৪ জনই মোবাইল ফোনে আসক্ত।
আসক্তির কারণ কী?
মূলত, বাবা-মায়ের সময় না কাটানো, খেলার মাঠের অভাব, খেলার সঙ্গীর অভাব স্মার্টফোন আসক্তির প্রধান কারণ। ফলত, বেড়ে চলেছে কার্টুন দেখা, স্মার্টফোনে গেম খেলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট গেম আসক্তি অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের আসক্তির মতোই। মোবাইল ব্যবহারের পর মস্তিষ্কের কোষ থেকে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরিত হয়। ডোপামিন হরমোন মন ভালো রাখে। আসক্তি তৈরি করে।
স্মার্টফোনে আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব
১. দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে চোখের রেটিনা, কর্নিয়া এবং অন্যান্য অংশ তৈরি হয়ে চলেছে মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যা। চোখে যন্ত্রণা ও মাথাব্যথায় ভোগে এখনকার বেশির ভাগ বাচ্চা।
২. রেডিয়েশনের কারণে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলে মাথায় ও কানে নন-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
৩. মোবাইল ফোনের ডিসপ্লেতে থাকা জীবাণু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।।
৪. স্মার্টফোনে আসক্ত বাচ্চারা অনেক রকম শারীরিক সমস্যা যেমন- মাথাব্যথা, হাত ও পিঠে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, অনিয়মিত খাওয়া, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভোগে।
৫. প্যান্ট পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে শুক্রাণু কমে যেতে পারে।
৬. স্মার্টফোনে আসক্ত বাচ্চাদের ঘন ঘন মেজাজ বদলের সমস্যা হয়।
দেখুন আরও খবর: