কলকাতা: দলবদলু অর্জুন সিংকে যাতে ব্যারাকপুরে (Barrackpur) টিকিট না দেওয়া হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাচ্ছেন মহকুমার একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক এবং ঘোর অর্জুন (Arjun Singh) বিরোধী বলে পরিচিত সোমনাথ শ্যাম (Somnath Shyam) জানান, ওই চিঠিতে সই থাকছে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, নোয়াপাড়ার বিধায়ক মঞ্জু বসু, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakrabarty)। পাশাপাশি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে (Assembly constituencies Barrackpur) কাকে তাঁরা তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে চান, সেই নামও মুখ বন্ধ করা খামে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে সোমনাথ জানান।
অর্জুনকে যে এলাকাবাসী সাংসদ হিসাবে চাইছেন না, মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে এমনটাই বলা হয়েছে। সোমনাথ বলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর এলাকায় বহু তৃণমূলের পার্টি অফিস পোড়ানো হয়েছে, কর্মীদের বাড়িঘর জ্বালানো হয়েছে, খুন করা হয়েছে। এই ধরনের তৃণমূল বিরোধী মানুষকে ব্যারাকপুরের মানুষ চান না, সেটাই দলনেত্রীকে জানানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছেলেকে বিজেপিতে রেখে তিনি নিজের বিভিন্ন মামলা বাঁচানোর জন্য এবং ব্যবসা চালানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে ইঁদুর হয়ে যোগদান করেছেন। আমডাঙায় অর্জুনের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। সেগুলিতে লেখা হয়েছে, অর্জুন সিংহকেই প্রার্থী চাই। এই পোস্টারের নেপথ্যে অর্জুন অনুগামীরাই রয়েছেন বলে সোমনাথের দাবি।
আরও পড়ুন:
লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Vote 2024) এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়নি। তার আগেই বিজেপি প্রথম দফায় সারা দেশে ১৯৫ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে বাংলার ২০ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল এখনও কোনও কেন্দ্রেই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীর নাম জানায়নি। তাই অন্যান্য কেন্দ্রের মতো ব্যারাকপুর কেন্দ্রেও একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। তার মধ্যেই আগেই কখনও তাপস রায়-সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তো কখনও অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াছে।
বছর দুয়েক আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বহু বিজেপি পার্টি অফিস কার্যত রাতারাতি তৃণমূলের পার্টি অফিসে রূপান্তরিত হয়। তবে দলের অন্দরে অর্জুনকে নিয়ে ক্ষোভ অব্যাহত ছিল। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ তখন থেকেই অর্জুনের বিরোধিতা করতে থাকেন। এই দুজনের মধ্যে অবশ্য অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমনাথের সঙ্গে অর্জুনের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে।
অন্য খবর দেখুন