নয়াদিল্লি: মাত্র একটা ভুল পদক্ষেপ। সাংবিধানিক আদালতে রক্ষাকবচ না পেলে ক্ষমতা ছাড়তেই হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলকে (Yoon Suk Yeol)। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা সে দেশের সংসদে শনিবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে পদ থেকে সরানোর (Impeached) জন্য বেশি সংখ্যক ভোট পড়ল। দেশে সামরিক আইন (Martial Law) জারি করার বিতর্কিত প্রচেষ্টার কারণে তিনি বরখাস্ত। আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেছিলেন। যা রাজনীতি নির্বিশেষে দেশবাসীর আত্ম মর্যাদায় ঘা দেয়। সারা দেশের কাছে যার জন্য ভিলেন হয়ে যান প্রেসিডেন্ট। উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উনের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একের পর এক সামরিক পদক্ষেপের কথা শোনা যেত দক্ষিণ কোরিয়ার এই শাসকের কণ্ঠে। যাঁকে মদত দিত আমেরিকাও। সেই প্রেসিডেন্টকেই মাত্র একটা ভুল পদক্ষেপের জেরে ক্ষমতা হারাতে হল। এদিন সংসদের বাইরে অপেক্ষায় থাকা জনতা হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়েন। ভোটের পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্লোর লিডার পার্ক চ্যান-ডে বলেন, এটা জনগণের মহান বিজয়। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে ২০৪ জন আইন প্রণেতা বা সাংসদ সায় দেন। এর ফলে নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত একমাত্র পারে তাঁকে শেষ রক্ষা করতে। আদালত তাঁর অপসারণকে সমর্থন করলে ইউন হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাখ্যা, অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইয়ুন সুক ইয়োল ওই সামরিক আইন জারি করেছিলেন। পরে চাপে পড়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু, প্রতিবাদের আগুন তার পর থেকে জ্বলতেই থাকে। প্রেসিডেন্টের আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযোগ ছিল, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। কিন্তু, প্রেসিডেন্টর ভাষণের পরে তাঁর দলের অনেকেও এই আইনের বিরোধিতা করেন। প্রথমবার সংসদে বেঁচে গেলেও, তাঁকে বরখাস্ত করার জন্য বিরোধী দলগুলি দ্বিতীয়বার সংসদে বিষয়টিতে সরব হন।
আরও পড়ুন: ওপেন এআই, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের রহস্যমৃত্যু আমেরিকায়
দেখুন অন্য খবর: