নয়াদিল্লি: পিএমএলএ আইনের (PMLA Act) ৪৫(১)(২) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার ক্ষমতা রাষ্ট্রকে দেওয়া হয়নি। অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। যখন আর্থিক অনিয়ম বা কেলেঙ্কারির মূল অভিযোগের শুনানি যুক্তিসঙ্গত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়, তখন সাংবিধানিক আদালতকে তার ক্ষমতা অনুসরণে জামিনের আবেদন বিবেচনা করতেই হবে। তার কারণ, ৪৫(১)(২) অনুযায়ী রাষ্ট্রকে অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘ সময় অভিযুক্তকে আটকে রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
১৯৭৩ সালের সিআরপিসি’র ৪৩৯ ধারা অনুযায়ী তামিলনাড়ুর প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী সেন্থিল বালাজির জামিনের আবেদন সেখানকার হাইকোর্টে বাতিল হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে মন্তব্য আদালতের। পরিবহণ দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ সহকারী ও ভাই-এর সহযোগিতায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ রোজকারের অভিযোগ। সেই সঙ্গে চাকরি নিয়মিতকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ। সেই সূত্রে ভারতীয় ফৌজদারি আইন ও দুর্নীতি দমন আইনে এফআইআর। একইসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আর্থিক কেলেঙ্কারি বিরোধী মামলা। যে অভিযোগকে মান্যতা দেয় বিশেষ আদালত।
আরও পড়ুন: পুলিশি সংস্কৃতি ও আচরণ সংস্কারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কানে ঢোকেনি: গুজরাট হাইকোর্ট
যুক্তিসম্মত সময়সীমার বিচারের ক্ষেত্রে দেখতে হবে, অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্তের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সাজা কতদিন হতে পারে। দ্বিতীয়ত, জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে কেমন জোরালো বা কঠোর শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। কিন্তু সবার আগে দেখতে হবে, ঠিক কতদিনের মধ্যে মূল অভিযোগের শুনানি সম্ভবপর। অভিমত আদালতের।
সাংবিধানিক আদালত এমন ক্ষেত্রে যদি তার এক্তিয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার না করে, তাহলে অভিযুক্তের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার পরাজিত হবে। এমন অভিমত দিয়েই জামিন মঞ্জুর প্রাক্তন মন্ত্রীর।
আরও খবর দেখুন