কলকাতা: বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন আন্দোলনকারীরা। ফের হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কোটা বিরোধী আন্দোলনে (Students Protest Bangladesh) যুক্ত প্রতিবাদীরা। এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার বাংলাদেশের ১৪টি জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সোমবার থেকে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনার সরকার। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্ফু জারি করা হল বাংলাদেশে (Bangladesh)। বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
আশান্তির কালো মেঘ সরছেনা পদ্মাপারের দেশের। রবিবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। রাজধানী ঢাকা-সহ সব জেলা সদর, বিভাগীয় সদর, মহকুমা, পুরসভা এলাকা, উপজেলায় জারি কার্ফু। মাগুরায় পুলিশ থেকে শুরু করে শাসকদলের কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান (রাব্বি)। বাংলাদেশের হাইকোর্টের (Bangladesh High Court) পর্যবেক্ষণ, হিংসা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে পারে। প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারে। তবে হিংসার ঘটনা না ঘটলে গুলি চালানো যাবে না।
আরও পড়ুন: এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ ?
পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে দাবি। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে(Dhaka Medical College Hospital) রবিবার সকাল থেকে ৫৬ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন