কলকাতা: গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধে স্কুলের জমি বিক্রির গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটালেন। রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আব্দুস সাত্তারের নাম ঘোষণাকে ঘিরে বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধারাবাহিকভাবে বিভাজনকারী এবং তোষণ নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছেন৷ তাঁর প্রশাসন হিন্দুদের ধর্মীয় উদযাপন সীমিত করার জন্য প্রায়ই পুলিশকে ব্যবহার করেছে এবং প্রচুর আকস্মিক নির্দেশ জারি করেছে, যেমন দেবী দুর্গার বিসর্জন নিষিদ্ধ করা।”
আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনের উদ্দেশ্যই ছিল মমতাকে রক্ষা করা, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এক্স হ্যান্ডেলের এই পোস্টে সুকান্ত মজুমদার আরও লেখেন, “২০২৪ সালে বাংলা জুড়ে বিভিন্ন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলগুলিতে ভাঙচুর এবং ভয় দেখানোর অসংখ্য ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও রাজ্যের প্রধান হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব ছিলেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে যাঁরা ব্যাহত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকার”। পাশাপাশি, সিপিএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারকে প্রশাসনিক পদে আসীন হওয়া নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করে লেখেন, “সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু-সম্পর্কিত সমস্যাগুলি পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে একজন প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। তাঁর এই নীতি আরও বেশি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রাক্তন সিপিআইএম মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী আবদুস সাত্তার-এর নিয়োগ ওবিসি কোটার অধীনে মুসলিম চাকরি সংরক্ষণের পক্ষে কথা বলে। এটি ফের একবার সংখ্যালঘু তোষণকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।” এছাড়াও, এই পোস্টে তিনি লেখেন, “বাংলা এমন নেতৃত্বের যোগ্য যিনি বিভক্ত না হয়ে একত্রিত হবেন।”
দেখুন অন্য খবর: