কলকাতা: সৌরজগতের সমস্ত শক্তির উৎস হল সূর্য। কিন্তু আচমকা যদি সূর্যের শক্তি বেড়ে যায় কিংবা সূর্য আরও বেশি সক্রিয় হয়ে অঠে, তাহলে কী হবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর উপর এই ঘটনার প্রভাব তেমন মারাত্মক না হলেও স্পেস ওয়েদার বা মহাশূন্যের আবহাওয়ায় এর প্রভাব পড়বে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিছু দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটি ‘বাইনার-২’, ‘বাইনার-৩’ এবং ‘বাইনার-৪, নামের তিনটি ক্ষুদ্রাকৃতি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল একাধিক গবেষণামূলক প পরীক্ষামূলক কাজে। এই তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহের আয়ুষ্কাল ছিল ৬ মাস। কিন্তু ২ মাসের মধ্যে আচমকা তিন তিন’টি উপগ্রহ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নেমে আসে। এর ফলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এগুলি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, সূর্যের সক্রিয়তা বৃদ্ধির কারণেই এই অঘটন ঘটেছে। কিন্তু সূর্যের সক্রিয়তা বৃদ্ধি কী? চলুন এই বিষয়ে একটু বিস্তারে জেনে নেওয়া জাক।
আরও পড়ুন: অবিকল পৃথিবী! ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরেই রয়েছে রহস্যময় এই গ্রহ
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সানস্পট, সোলার ফ্লেয়ার এবং সৌরবায়ুর প্রভাবে সূর্যের সক্রিয়তার বৃদ্ধি ঘটতে পারে। সহজ কথায় বললে, চার্জযুক্ত কণার প্রবাহ যখন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তখন মনে করা হয় যে সূর্য বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে। আসলে সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে এইসব ঘটনা ঘটে। প্রায় ১১ বছর পর পর সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পূর্ণরূপে উল্টে যায়। এই চক্রের মাঝামাঝি সময়ে সূর্য সবথেকে বেশি সক্রিয় থাকে। এখন ‘সোলার সাইকেল-২৫’-এর মাঝামাঝি সময় চলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে সূর্যের সমস্ত কার্যকলাপ আগের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বেশি রয়েছে। কিন্তু এর ফলে কী কী হতে পারে? জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য সক্রিয় থাকাকালীন মেরুজ্যোতি আরও স্পষ্ট এবং প্রবল হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, এই সময়ে মহাকাশে প্রদক্ষিণরত কৃত্রিম উপগ্রহগুলিতে যান্ত্রিক গলযোগ হয়। তবে ভূপৃষ্ঠে এই ঘটনার তেমন কোনও মারাত্মক প্রভাব পড়ে না। তাই বিষয়টি নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই।
দেখুন আরও খবর: