সুন্দরবন: সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জও রেমালের (Cyclone Remal) দাপটে বিধ্বস্ত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। পাশাপাশি ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল (TMC candidate Haji Nurul Islam)ও বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র (BJP candidate Rekha Patra)। ১ জুন বসিরহাটে সপ্তম দফা তথা শেষ দফার ভোট। ভোটের আগেই রেমালের দাপটে বিধ্বস্ত সুন্দরবন বিস্তৃর্ণ এলাকা। নির্বাচনের পোলিং স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত। সুন্দরবন (Sundarbans) লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি (Sandeshkhali), হাড়োয়া, মিনাখাঁ এই ব্লকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত। কাঁচা পাকা বাড়ি ১৮৫৩ , পোলিং স্টেশন ৩৮ টা ,বিদ্যুতের খুঁটি ৪৮ টা ক্ষতিগ্রস্ত। সেই সঙ্গে নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় একদিকে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে।
হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাই কাটিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ৫০ ফুট করে কালিন্দী নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। বাঁধ মেরামতিতে পঞ্চায়েতের সেচ দফতরের কর্মীরা। বৃষ্টির জেরে সন্দেশখালি মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়মঙ্গল নদী বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে ঢুকছে নোনা। হিঙ্গলগঞ্জ অঞ্চলের বোলতলা শ্মশানঘাটে ইছামতি নদী বাঁধে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট নদী বাঁধে ধস নেমেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেই বাঁধ মেরামতির কাজে নিজে হাত লাগালেন হিঙ্গলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা হিঙ্গলগঞ্জ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ গাজী মহাশয়। অন্যদিকে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জে পাঁচটি রাস্তায় কয়েকশো গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যান চলাচল ব্যাহত। সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ সরানোর কাজে।
আরও পড়ুন: সপ্তম দফার শেষ ভোটে কমিশনের বিশেষ নজর থাকবে সন্দেশখালির উপর
রেমালের দাপটের পর হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালির নদী বাঁধ পরিদর্শন যান বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা সেই ছবি উঠে আসে। হিঙ্গলগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী ও সন্দেশখালিতে তৃণমূল প্রার্থী ধামাখালি সরবেড়িয়া বেরমজুর বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূল প্রার্থী শেখ হাজিনুরুল ইসলাম সঙ্গে ছিলেন সন্দেশকালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র হিঙ্গলগঞ্জের স্বরূপকাঠি,দুলদুলি ও সন্দেশখালি একাধিক এলাকায় ভরাকোটালে নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। বেশ কিছু নদী বাধ প্লাবিত হয়ে গ্রামের মধ্যে নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে।
প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (BJP candidate Rekha Patra)। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোন করে জানানো হচ্ছে। নদীর বাঁধ উপছে গ্রামের মধ্যে নদীর নোনা জল ঢুকেছে। তারি কারণে বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাই তাদের সঙ্গে দেখা করে একটি হেল্প লাইন নাম্বার দেওয়া হল কারো কোন অসুবিধা হলে ফোন করলে তাদের পাশে সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। গোটা সুন্দরবন জুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি ফলে প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত ঘাটের ফেরি ও ভেসেল পরিষেবা পুরোপুরি স্তব্ধ রাখা হয়েছে। যেহেতু নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীতে পারাপার হওয়া পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ ।
অন্য খবর দেখুন