নয়াদিল্লি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে সর্বত্র। সেই আবহে এই মামলার দ্বিতীয় শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court On RG Kar) ৯ দিনের তদন্তে কতদূর অগ্রগতি হল তদন্তে সেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্যালে ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ? রিপোর্ট দিল রাজ্যও। স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়ে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই (CBI)। জানাল, ঘটনা যে জায়গায় ঘটেছিল, সেই অপরাধের জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিবারকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। শুনানিতেও উঠে এল আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গও।
সিবিআইয়ের জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সিবিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্যের তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্যকে কোনও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়নি। কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police) বলা হয়েছিল রিপোর্ট করতে। রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন, অভিযুক্তের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট কোথায়? সলিসেটর জেনারেল বলেন, আমরা এটার সঙ্গে অভিযুক্তের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট দিইনি। রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, এটা গোটাটাই কেস ডায়েরির অংশ। সেটা জমা দেওয়া হয়েছে। সলিসেটর জেনারেল জানান, নির্যাতিতা চিচিৎসকের দেহ দাহ করার পর রাত ১১.৪৫ মিনিটে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘কাজে যোগ দিন’ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সুপ্রিম বার্তা
সলিসেটর জেনারেল জানান, পরিবারকে জানানো হয়েছিল এটা আত্মহত্যার ঘটনা। চিকিৎসকদের চাপে পড়ে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করানো হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে চান। সলিসেটর জেনারেল সেটা জমা দেন, তিনি জানান, সেটি পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছেন। বিচারপতি পার্দিওয়ালা জানতে চান, কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে? এফআইআর কখন করা হয়েছে? ময়নাতদন্তই বা কখন হয়েছে ? সিব্বল জানালেন, সন্ধে ৬টা ১০ থেকে ৭.১০ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত চলে। আরেক বিচারপতি মিশ্রর কথায়, সন্ধেয় ময়নাতদন্ত হয়েছে। রাত সাড়ে এগারোটায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এফআইআর হয়েছে রাত পৌনে বারোটায়। বিচারপতি বলেন, অবাক হয়ে যাচ্ছি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়েরের আগেই ময়নাতদন্ত হয়ে গেল। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এদিন আদালতে প্রশ্ন ওঠে। বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালারবলেন, ৩০ বছরের কেরিয়ারে আগে এমন ভূমিকা দেখিনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়েরে এত দেরি কেন, প্রশ্ন বিচারপতির।
দেখুন ভিডিও