নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও পুলিশি সংস্কৃতি (Police Culture) ও আচরণ সংস্কারে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ কারুর কানে ঢোকেনি। নির্মম পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে গুজরাট হাইকোর্টের অভিমত। এক বর্ষীয়ান নাগরিকের প্রতি পুলিশের নির্মম অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রকাশ সিং বনাম ভারত সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উল্লেখ বিচারপতি হাসমুখ ডি সুথারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পুলিশের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ হামেশাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে। পুলিশি আচরণ সম্পর্কে অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ বধিরদের কানে ঢোকেনি। যে কারণে কোনও পরিবর্তন দেখাই যাচ্ছে না। মন্তব্য বিচারপতির।
অভিযোগকারী একটি পশু ক্লেশ ও নিষ্ঠুরতা বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। অগুন্তি পশুকে দুর্দশার হাত থেকে বাঁচাতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চলেছেন বছরের পর বছর। এভাবেই বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তিনটি পশু ভর্তি ট্রাক তিনি আটকান। দেখা যায়, পারমিট ছাড়াই এবং পরিবহণ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেই পশুগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি তিনি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। কিন্তু তাঁকেই তলব করেন এক পুলিশ ইন্সপেক্টর। সেখানে গেলে নিজের কেবিনে ঢুকিয়ে ওই ইন্সপেক্টর অভিযোগকারীকে ব্যাপক নিগ্রহ করেন। তাঁর কানের পর্দা ফেটে যায়। রক্ত বেরিয়ে আসে। সেই সূত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ নিষ্ফলা হওয়ায় অভিযোগকারী হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা
ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ কমপ্লেন্ট অথরিটি অভিযোগ পেয়েও রাজ্যের পুলিশ আইন অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানা নেই। তাই ওই অথরিটিকে আইন অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ করার নির্দেশ। একইসঙ্গে রাজ্যের পুলিশ আইন অনুযায়ী বিষয়টির তদন্ত রিপোর্ট অবিলম্বে রাজ্যের থেকে চাওয়া হয়েছে।
আরও খবর দেখুন