নয়া দিল্লি: ২০০৪ সালের উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন আইনকে খারিজ করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ওই আইন সাংবিধানিক বলে রায় দিল। আইন মাফিক ফাজিল বা কামিল জাতীয় উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা ইউজিসি আইন বিরুদ্ধ। তাই মাদ্রাসা আইন দ্বারা এমন ডিগ্রি দেওয়ার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক, বলে জানাল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মাদ্রাসা আইনের ক্ষমতা সীমাহীন নয়। সেই শিক্ষার মান বজায় রাখতে রাজ্য নিয়ন্ত্রণ রাখতেই পারে। সেখানে ধর্মীয় রীতিনীতি শেখানো হলেও মূল লক্ষ্য থাকবে শিক্ষাদান। জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: সব ব্যক্তিগত মালিকাধীন সম্পত্তি রাজ্যে অধিগ্রহণ করতে পারে না: সুপ্রিম কোর্ট
সংবিধানের ২১(ক) আর্টিকেল অনুযায়ী উপযুক্ত মানের শিক্ষা মাদ্রাসা শিক্ষা দ্বারা নিশ্চিত হয় না। প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় পথ নির্বাচন করার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু তা কখনও মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প হতে পারে না। দাবি করেছিল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চিলড্রেনস রাইটস বা এম সি পি সি আর-এর।
উল্লেখ্য, ওই আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এমন একটি প্রকল্প তৈরি করতে বলেছিল, যার দ্বারা মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাধারণ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা যায়।
দেখুন আরও খবর: