নয়াদিল্লি: প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে আরজি কর মামলার (RG Kar Case Supreme Court) শুনানি চলছে। আরজি করে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় দেশের নজর শীর্ষ আদালতের দিকে। এদিন আদালতে সিবিআই রিপোর্টে জমা দিয়েছে। সেখানেই তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে ফের এক দফা রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সিবিআই আধিকারিক সত্যজিৎ সিংহ রিপোর্ট বিচারপতিদের কাছে জমা দেন। রিপোর্ট দেখে বিচলিত সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, এই রিপোর্ট খুবই উদ্বেগের।
আরজি কর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের অগ্রগতি দেখে খুশি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, সিবিআই ঘুমিয়ে নেই। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্ত প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মামলায় যে যে বিষয় গুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে। ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের যথাযথ ভাবে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট এই সব কিছুই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাতে মহিলাদের ডিউটি নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে তাড়াহুড়ো করার পক্ষে সায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেন,তদন্ত শেষ করার এখনও সময় আছে। আমরা সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য আরও সময় দিতে হবে। আমরা সিবিআইকে সময় দিতে চাই। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাধারণ মানুষের দাবি মেনে সাত দিনে তদন্ত শেষ করা হয়, তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। নির্যাতিতার পরিবার যে যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,তা সব খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশও।
অন্য খবর দেখুন