কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক চা শ্রমিকদের (Tea Garden Workers Strike)। তাদের দাবি মতো পুজো বোনাস না মেলায়, আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা চা বাগান বনধের ডাক দিয়েছেন। ২০ শতাংশ বোনাসের (Bonus Problem Tea Gardens) দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন চা শ্রমিকেরা (Tea Gardens Worker)। যদিও দার্জিলিং শহরে বনধের খুব একটা প্রভাব চোখে পড়েনি। দোকানপাট অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো খোলাই রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। বন্ধ সমর্থনকারীরা জোর করে দোকান বন্ধ করানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। কার্শিয়াং শহরেও পর্যটকদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। পড়ে পুলিশ এসে সমর্থকদের হটিয়ে দেন। এই পরিস্থিতিতে বোনাস সমস্যা দ্রুত মেটাতে শ্রম দফতরকে নির্দেশ দিল নবান্ন। চা শ্রমিক ও মালিকপক্ষকে আলোচনার এনে সুরাহা করতে শ্রম দফতরকে নির্দেশ দিল নবান্ন (Nabanna)।
দফায় দফায় বৈঠকের পরেও পাহাড়ের চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। পাহাড়ের ৮৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের এখনও পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি হয়নি। শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় হলেও, মালিক পক্ষ ১৩ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা জানায়। এর জেরে সোমবার ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই বনধকে সমর্থন করেছে বিজিএম সহ পাহাড়ের সমস্ত দল। এই পাহাড় বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকে। এদিন সকাল থেকেই গরুবাথানের পান্ডারা মোড়ে পথ অবরোধ করেন চা শ্রমিকেরা। গরুবাথান ব্লকে লোয়ার, আপার ফাগু, অম্বিয়ক, মিশন হিল, কুমাই সহ আরও বেশ কয়েকটি চা বাগানে বন্ধ কাজকর্ম। পাশাপাশি বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন চা শ্রমিকরা। সোমবার গরুবাথানের বাজারে সাপ্তাহিক হাট। জেলার সর্ববৃহৎ হাট এটি। এদিন আর হাট বসেনি। জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় বসে সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান তোলেন তারা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে প্রতিটি কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। চলবে কর্মবিরতি।
আরও পড়ুন: ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ ক্যানিং হাসপাতালে
উল্লেখ্য, পাহাড়ের ৮৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের এখনও পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি হয়নি। ২ সেপ্টেম্বর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তার পর থেকে তিনটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে, মালিকপক্ষ ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে নারাজ। আগের প্রতিটি বৈঠকই ভেস্তে গিয়েছে। এদিনের বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে না আসায় ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে প্রতিটি শ্রমিক সংগঠন।
অন্য খবর দেখুন