ওয়েব ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি(SSC Case) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (calcutta High Court) নির্দেশের পরেও চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক নোটিস পুলিশের। তা নিয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন দুই চাকরিহারা শিক্ষক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোটা প্যানেল বাতিলের পর আন্দোলন করতে গিয়ে বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (calcutta High Court)। সেই মামলায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্তে ‘ গো স্লো ‘-র নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ, তার পরেও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক নোটিস পাঠাচ্ছে পুলিশ। এ নিয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ করলেন দুই চাকরিহারা শিক্ষক।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ‘যিনি বা যাঁরা এমন নোটিস পেয়েছেন তারা তা খারিজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। হয় পৃথক পৃথক ভাবে নিজেরা আবেদন করবেন বা তাঁরা সকলে একসঙ্গে কোনো আইনজিবিকে দিয়ে এই আবেদন করতে পারবেন।’
আরও খবর : কসবা কাণ্ডের তদন্তে গভার্নিং বডির রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত
হাইকোর্টের(High Court) নির্দেশ দেওয়ার পরও উচ্চশিক্ষা দফতর চাকরিহারা শিক্ষকদের নোটিস পাঠাচ্ছে বলে শুক্রবার আদালতে অভিযোগ করেছেন দুই চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মন্ডল ও সংগীতা ঘোষ। এই ইস্যুতে দায়ের মূল FIR খারিজের দাবি জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার। তবে এই বিষয়ে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই নোটিস নিয়ে যখন শুনানি হবে, তখনই এই বিষয় নিয়ে বিবেচনা হবে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ফলে চাকরিহারা হয়েছিলেন ২৫,৭৩৫ জন। এর প্রতিবাদে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হয়েছিলেন বিকাশ ভবনের সামনে। সেই বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এর পরেই বিক্ষুদ্ধদের একাংশ গেট ভেঙে বিকাশ ভবনে ঢুকে পড়েছিলেন। ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছিল। সেই মামলায় পুলিশকে ধীরে চলার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তার পরেও পুলিশ চাকরিহারা শিক্ষকদের নোটিস পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ।
দেখুন অন্য খবর :