কোচবিহার: স্কুলে (School) খাতায়-কলমে রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক (Teacher)। কিন্তু বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন দু থেকে তিনজন। আর যে ২-৩ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন তাঁরাও আসেন নির্দিষ্ট সময়ের অনেকটা পরে। ফলে বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ঠেকেছে তলানিতে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেরিতে বিদ্যালয়ে আসা সহ নিম্নমানের পঠন-পাঠনের অভিযোগ তুলে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়ারাও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ নং ব্লকের বাত্রিগাছ ফ্রাগমেন্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীসহ অভিভাবকদের অভিযোগ, ইস্কুলে এই মুহূর্তে ছয় জন শিক্ষক থাকলেও তাঁরা ঠিকঠাকভাবে কেউ বিদ্যালয়ে আসেন না। কেউ আসেন বেলা ১২ টায় তো কেউ আসেন বেলা একটায়। আর এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন গিয়েছে তলানিতে। এছাড়াও স্কুল থেকে মিড ডে মিলের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
অভিভাবকদের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নূর নবী মিয়া জানান, স্কুলের শিক্ষকেরা সময়মতো স্কুলে আসেন না। কোনওদিন একজন আসেন তো কোনওদিন দুইজন। বাকিরা সবাই অনুপস্থিত। এছাড়াও যাঁরা স্কুলে আসেন তাঁরাও বেশিরভাগ সময় বারোটার পরেই স্কুলে আসেন। এর আগে একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষকদের এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোনও সুরাহা না মেলায় অবশেষে আজ অভিভাবকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু বিজেপিতে?
অপরদিকে বিদ্যালয়ে দেরিতে আসার অভিযোগের প্রতি উত্তরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ রায় বলেন, প্রত্যেক দিনই সময় মতো আসা হয়। তবে আজ বিদ্যালয়ের কাজেই একটু বাইরে ছিলাম সেজন্য আসতে দেরি হয়েছে। এছাড়াও মিড ডে মিলের ব্যাপারে অভিযোগ শুনে তিনি জানান এ ব্যাপারে রাঁধুনিদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আরও খবর দেখুন