আলিপুরদুয়ার: তোর্ষার (Shil Torsa River) ভয়ঙ্কর রূপ, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। তোর্সার ভাঙনে আতঙ্কিত আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বাসিন্দারা (Residents of Kalchini in Alipurdua)। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে অসহায় গ্রামবাসীদের জমি, ঘরবাড়ি, চাষের খেত, বাগান ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে তোর্ষার জলে (Shil Torsa River)। আতঙ্কিত আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া রণবাহাদুরবস্তির বাসিন্দারা। এই তোর্ষা নদীর পাড়েই প্রতিবছর ছটপুজোর (Chhath Puja) আয়োজন করা হয়। তবে এবছর নদীর জল গ্রামে প্রবেশের মুখে। কোথায় ঘাট তৈরি করা হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না ছটব্রতীরা। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ছট পুজোর আয়জন হবে তা নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা।
তোর্ষার ভাঙনে আতঙ্কিত আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া রণবাহাদুরবস্তির বাসিন্দারা। তোর্ষার পাড়েই প্রতিবছর ছটপুজোর আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরই ছটব্রতীরা আসেন এই এলাকায় ছটপুজো করতে। তবে এবছর নদীর জল গ্রামে প্রবেশের মুখে। কোথায় ঘাট তৈরি করা হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না ছটব্রতীরা। রণবাহাদুর বস্তি এলাকায় তোর্ষা নদীর ধারে রয়েছে বাঁধ। এই বাঁধটি পাথরজালি দিয়ে তৈরি। যদিও ১৫০ মিটার বাঁধ জলের তোড়ে ভেঙেছে অনেকদিন আগে।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা কর্মীদের বেঁধে রাখার নিদান তৃণমূল বিধায়কের
তোর্ষার জল দেখে অনেকেই বলছেন বাকি ৫০ মিটার বাঁধটুকু আর থাকবে না। এই বাকি বাঁধটুকু না থাকলে তোর্ষার জলে ডুবে যাবে রণবাহাদুর বস্তি। রাজ্যের সেচমন্ত্রী চারমাস আগে এসে এই এলাকার পরিস্থিতি দেখে গিয়েছিলেন। তিনি বাঁধের পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রবেশ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ছট পুজোর আয়জন হবে এবং নদীর জলকে গ্রামের প্রবেশের থেকে রোকা যাবে তা নিয়েই চিন্তিত বাসিন্দারা। আঞ্চলিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারে নদীর ক্রমাগত ভাঙনের কারণে বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে, চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। সম্পূর্ণ এলাকাই একটা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন