ঢাকা: মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ লাগোয়া মংডু শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচারের আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদ আসছে। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে বাংলাদেশে নতুন করে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ। তাঁরা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও বান্দরবানের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছেন। তবে রাখাইনে এখনও প্রায় ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা রয়ে গেছেন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু তাতেও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ আটকানো সহজ হবে না।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে ১৯ ভারতীয়! সামনে এল নতুন তথ্য
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান সম্প্রতি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে হলে মায়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। দেশের বৈদেশিক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও একমত পোষণ করেছেন। তাঁর দাবি, আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না হলেও আরাকান আর্মির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিকল্প নেই। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে রাখাইন প্রদেশে আরাকান আর্মি প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। ফলে তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান অসম্ভব। এ অবস্থায় ইউনুস সরকার চটজলদি পদক্ষেপ নিতে চায়। কিন্তু আদৌ কি সেটা সম্ভব হবে? উত্তর দেবে সময়।
দেখুন আরও খবর: