ঢাকা: কয়েকমাস আগেই কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ব্যপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশে। এরপর সেই দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। গত ৫ আগস্ট একপ্রকার বাধ্য হয়েই দেশত্যাগ করেন তিনি। এরপর কেটে গিয়েছে তিন মাস। এখনও বাংলাদেশে ফেরেননি হাসিনা। তবে এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে দেশে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা তাঁদের খুঁজে বের করতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে রেড নোটিস জারি করব এবং তাঁদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।”যদিও তিনি এদিন সরাসরি শেখ হাসিনার নাম নেননি, তবে বাংলাদেশের পটভূমিতে তাঁর এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রেড কর্নার নোটিস জারি হলে ইন্টারপোলের সদস্য রাষ্ট্রগুলির গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থাগুলি অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে তাঁকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ট্রাম্প সমর্থকদের ধরপাকড়, গ্রেফতার!
প্রসঙ্গত, হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমান ১৪৩ জনের সঙ্গে হত্যার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা করেছেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে ১৯৮টি খুনের মামলা রয়েছে। ইন্টারন্যশানাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে হাসিনা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আদালতের রায় ঘোষণার আগে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কোনও তৎপরতা দেখানো হবে না। তবে রায় ঘোষণার পর তাঁকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউনুস সরকার।
দেখুন অন্য খবর: