নয়াদিল্লি: আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের (FBI) পরবর্তী ডিরেক্টর পদে আমেরিকার (US) ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বাছলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেলকে (Kashyap Patel)। ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা করেছেন তিনি ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কাশ প্যাটেলকে মনোনীত করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে কাশ প্যাটেল ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করবেন। কাশ একজন আইনজীবী, তদন্তকারীর ভূমিকায় কর্মজীবন কাটিয়েছেন দুর্নীতি উন্মোচন, ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য।
কে এই কাশ্যপ প্যাটেল? এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে আমেরিকা চেনে ক্যাশ প্যাটেল নামে। ট্রাম্প প্রশাসনে মনোনীত একাধিক ব্যক্তির মতো ক্যাশকে নিয়েও অনেক বিতর্ক। পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। ক্যাশের গুজরাটি বাবা-মা বেড়ে ওঠেন পূর্ব আফ্রিকায়। সাতের দশকে উগান্ডা থেকে আমেরিকায় পৌঁছন। কাশ্যপের জন্ম নিউ ইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে। আইনের ছাত্র পেশাদার জীবন শুরু করেন ফ্লরিডার আদালতে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতের উত্থান প্রথম ট্রাম্প সরকারের আমলেই। ২০১৮ সালে হাউস অফ ইন্টেলিজেন্স কমিটির সিনিয়র ডিরেক্টর হন ক্যাশ। ২০১৯ সালে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিশনের সদস্য। ২০২০ সালে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডেপুটি করা হয় ক্যাশকে। এরপর সেক্রেটারি অফ ডিফেন্সের চিফ অফ স্টাফ হন। অতীতে একাধিকবার এফবিআইকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করেন কাশ্যপ। ট্রাম্পের মুখে জনসভায় কাশ্যপের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। এফবিআই কর্তাদের সরকারি গ্যাংস্টারও বলেন। তিনি মূল ধারার মিডিয়ার কড়া সমালোচক। তাঁর মতে, রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোই মিডিয়ার কাজ। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর ক্যাপিটালস হিলসে ভাঙচুর চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। সেই হিংসায় আক্রান্তদের সাহায্য করে কাশ প্যাটেলের ফাউন্ডেশন। ২২ জানুয়ারি আমেরিকার রামমন্দির উদ্বোধনের সমালোচনা করে আমেরিকার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র। সেই সময় নরেন্দ্র মোদির পক্ষে সওয়াল করেন কাশ্যপ। এখন এফবিআইয়ের ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে। তাঁর মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এবার এফবিআই ডিরেক্টরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই দায়িত্ব তুলে দিতে চান নিজের বিশ্বস্ত অনুচর ৪৪ বছরের কাশের হাতে।
আরও পড়ুন: ভারতের চরম পদক্ষেপ! ‘টেনশন’ বাড়বে ইউনুস সরকারের?
দেখুন অন্য খবর: