কলকাতা: বাঘাযতীনের পর ট্যাংরা! ফের হেলে পড়ল বহুতল। বুধবার সকালেই ট্যাংরায় বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসে। আর দুপুর হতে না হতেই সেই বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার নির্দেশে এবার ভেঙে ফেলা হতে চলেছে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের উপর অবস্থিত সবুজ বাড়িটি। ইতিমধ্যেই সেই বহুতল খালি করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। মাকিংয়ে চলছে সতর্কতামূলক প্রচারও। তবে এবার ফ্ল্যাট বাসিন্দারা বহুতল খালি করে দিলেও ফ্ল্যাটের টাকা দাবি করছেন।
আরও পড়ুন: ট্যাংরায় হেলে পড়ল বহুতল, আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা
তবে কীভাবে ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডের ওই নির্মীয়মাণ বহুতল বুধবার সকালবেলা হেলে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ক্রিস্টোফার রোডে ওই বহুতলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছিল। বাড়ির ভিতরের কাজ বাকি ছিল বলেই খবর। এরই মাঝে বুধবার সকালে স্থানীয়রা দেখেন বহুতলটি একদিকে হেলে পড়েছে পাশে বাড়ির গায়ে। পাশেই রয়েছে আরেকটি বহুতল, স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার বাসিন্দারাও ভয়ে। খবর দেওয়া হয় পুরসভায়। কেন এই ঘটনা, কার গাফিলতিতে পুরোপুরি তৈরির আগেই বিপত্তি, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোনও শর্তেই মানা হয়নি। পাশের বাড়িগুলির সঙ্গে যে নূন্যতম দূরত্ব রেখে নির্মাণকাজ করতে হয় সেই বিষয়টিও মানা হয়নি। অন্য দিকে, শহরে আরও একটি বাড়ি হেলে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কাজ নিয়েও। ওই এলাকার মাটি পরীক্ষা না করে কী ভাবে বহুতলটি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দারা।
তবে এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলারের দিকেও আঙুল তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এলাকার প্রায় সমস্ত বহুলতি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। সবই বেআইনিভাবে তৈরি আর সেই সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে জানান কাউন্সিলার বলে দাবি বাসিন্দাদের।
দেখুন অন্য খবর