হিঙ্গলগঞ্জ: কথায় বলে নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারো মাস। কয়েক মাস আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে ফোর দুর্যোগের আশঙ্কা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা (Cyclone Dana)। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বুধবার সকালের মধ্যেই তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা। এরপর তা শক্তি বৃদ্ধি করে ধেয়ে আসবে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলের দিকে। বৃহস্পতিবার সকালে যখন এটি বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের কাছে আছড়ে পড়বে তখন এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। দুর্যোগের প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়া-এই আট জেলায়। দুর্যোগের আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বাহারি চিনা আলোর দাপটে সঙ্কটে মাটির প্রদীপ, মুখভার চন্দ্রকোনার কুমোরপাড়ার
শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় ডানা ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়বে। রাজ্যের উপকূলীয়বর্তী এলাকায় যার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়াবিদরা। বাংলার উপকূলবর্তী সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalganj) উপরেও এই ঘূর্ণিঝড় যথেষ্ট আঘাত আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আগামী ৩ দিন ভারী থেকে চরম ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি সাহেব খালি সহ হিঙ্গলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁধ সংস্কার হয় না। একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় এলাকার উপর এলাকা। হিঙ্গলগঞ্জের রায়মঙ্গল কালিন্দী সহ বিভিন্ন নদী বাঁধের বেহাল দশা। কোথাও নদীবাদ ফাটল নিয়েছে কোথাও বা নদী বাঁধের বেশিরভাগ অংশই ধুয়ে চলে গিয়েছে নদীতে। আর এই অবস্থার মধ্যে যদি ঘূর্ণিঝড় এই এলাকায় আছড়ে পড়ে তাহলে নদীর জলের চাপ বাঁধ ধরে রাখতে পারবে না। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হবে বিস্তীর্ণ এলাকা। এই সবে ধানের চাষ করা হয়েছে। যদি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় তাহলে বড়সড়ো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। তবে ডানার মোকাবিলা করার জন্য সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অন্য খবর দেখুন