নয়াদিল্লি: সাপের কামড়ে (snake Bite) বা দংশনে মৃত্যু ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনও নতুন ঘটনা নয়। অনেক সময় এই পরিস্থিতিতে সচেতনতার অভাব এখানে লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃত চিকিৎসা না করিয়ে অনেক সময় গুণীন বা ওঝায় ভরসা রাখেন ভুক্তভোগীর বাড়ির লোকেরা। ফলে শেষ পরিণতি মৃত্যু।
সর্প দংশনে চিকিৎসার দূরবস্থা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেশের সব সরকারকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (supreme Court)। অ্যান্টি ভেনাম ড্রাগসহ সাপের কামড়ে বিপদাপন্নের উপযুক্ত চিকিৎসার প্রবল অভাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলা। সেই সূত্রে কেন্দ্র সহ সব রাজ্যের বক্তব্য তলব আদালতের।
সাপের কামড়ে মৃত্যু সহ বেঁচে যাওয়া রোগীরও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন। কারণ স্নেক বাইট এনভেনোমেশন অত্যন্ত দুরূহ, জীবন কেড়ে নেওয়ার মতো সময় সাপেক্ষ একটি চিকিৎসা। অথচ ভারতে প্রতিবছর গড়পড়তা ৫৮ হাজার মানুষের এই কারণে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: টক টু মেয়রের’ পর এবার ‘টক টু প্রধান’! করা হবে সমস্যার সমাধান
দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কৃষিকাজে নিযুক্ত। জলা জমিতে, গ্রামীণ এলাকায় তাঁদের কাজ করতে হয়। পাশাপাশি বস্তি সহ এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে সাপের উপদ্রব প্রবল। কিন্তু সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া বা কামড় খাওয়া মানুষের যথাযথ চিকিৎসা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও সচেতনতা অত্যন্ত কম।
অন্যদিকে সর্প দংশনে ক্ষতিগ্রস্তের প্রকৃত সংখ্যা কম আসায় জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে অ্যান্টিভেনাম সহ অন্যান্য ওষুধের যোগান কম থাকছে। যে কারণে চাহিদা প্রবল হওয়া সত্বেও অ্যান্টিভেনামের আকাল দেখা দেয়। ঠিক এই কারণে ভারতকে স্নেক বাইট ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড বা বিশ্বের সর্প দংশনের রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ মামলাকারীর।
যে অ্যান্টিভেনাম তথা পলিভেনম সাধারণভাবে পাওয়া যায়, তা মূলত রাসেলস ভাইপার, কমন ক্রেট, ইন্ডিয়ান কোবরা এবং ইন্ডিয়ান স-স্কেলড ভাইপারের প্রতিষেধক। কিন্তু এই চারটি শ্রেণী ছাড়াও দেশে আরও এমন বিভিন্ন প্রজাতির সাপ রয়েছে, যেগুলির দংশনে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও প্রতিষেধক মেলে না।
অথচ সেই সব সাপের দংশনের জেরে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গ বাদ দিতে হতে পারে, কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সূত্রে মূলত দেশের প্রতিটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সর্প দংশন চিকিৎসার দাবি মামলাকারীর।
দেখুন অন্য খবর: