নয়াদিল্লি: জালিয়াতি ও ফৌজদারি বিশ্বাসভঙ্গের অপরাধের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে পুলিশ অফিসারদের (Police Officer) প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ওই দুটি বিষয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম আইনি পার্থক্য বোঝার স্বার্থে দেশব্যাপী পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দরকার। কারণ, ওই দুটি অপরাধ সম্পূর্ণ আলাদা। একইসঙ্গে ওই দুটি বিষয় ঘটতে পারে না। অন্তত একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। অভিমত বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের।
তবে আরো দুঃখজনক হল, এতদিন পরে আদালতগুলিও এই দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুঝে উঠতে পারছে না। মন্তব্য আদালতের। এই রায়ের প্রতিলিপি আইন ও বিচার মন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে পাঠানোর নির্দেশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ এড়াতে অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্তের আপোস চুক্তি গ্রাহ্য নয়
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ফৌজদারী আইনের ৪২০ ধারা (এস ৩১৮ বিএনএস) অনুযায়ী জালিয়াতি এবং ফৌজদারি বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ ওই আইনের ৪০৬ ধারা(এস ৩১৬ বিএনএস) অনুযায়ী বিচার্য।
পুলিশ অফিসাররা এফআইআর দায়ের করার সময় প্রায় সবসময়ই জালিয়াতি ও ফৌজদারি বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ একই সঙ্গে নথিবদ্ধ করে দেন। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি অসততা অথবা জালিয়াতির। এই প্রবণতা সংশোধনে ম্যাজিস্ট্রেটদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ। সম্পর্কিত মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট এবং হাইকোর্ট উভয়ই একই ভুল করেছে বলে অভিমত আদালতের।
আরও খবর দেখুন