ডুয়ার্স: ধূপগুড়ি ও বানারহাট- তৃণমূল পরিচালিত এই দুই পঞ্চায়েত সমিতির গন্ডগোলে পর্যটকদের জন্য বন্ধ ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী মধুবনী পার্ক। তাতেই মাথায় হাত এলাকার পর্যটক ব্যবসায়ীদের। যার কারণে কোটি কোটি টাকা মার খাচ্ছে রাজ্য সরকার, দাবি ব্যবসায়ীদের।
আলাদা ব্লক হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল পরিচালিত ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে রশিদ ছাপিয়ে পার্ক থেকে তোলাবাজির অভিযোগ। যদিও ভাইরাল হওয়া এই রশিদের সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি। এদিকে নিজদের বিরুদ্ধে ওঠা পার্ক থেকে তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা সূত্রধর।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের মতো উজ্জ্বল আলো বসল কলকাতা মেট্রোতেও
ডুয়ার্সের অতিপরিচিত ঐতিহ্যবাহি মধুবনী পার্ক। যার এক প্রান্তে রয়েছে চা – বাগান, অপর প্রান্তে রয়েছে মধুবনী নদী ও খট্টিমারি জঙ্গল। যা ডুয়ার্স ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে অতি প্রিয়। বাম আমলে এই পার্কটি পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়। রাত্রি যাপনের জন্য পার্কের ভেতরে গড়ে তোলা হয় বেশ কয়টি কটেজ। একটা সময় পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করলেও, বর্তমানে পুরোপুরি ভাবে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এই মধুবনী পার্ক থেকে। যার কারণে কোটি কোটি টাকা মার খাচ্ছে রাজ্য সরকার, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়েছে এলাকার ক্ষুদ্র পর্যটক ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ, পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পার্কের ভেতরে পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা সমস্ত কটেজের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। তেমনি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন (A.C )বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও নজর নেই প্রশাসনের। এমনকি বানারহাট আলাদা ব্লক হলেও জোর করে এই পার্কের দখল রাখার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল পরিচালিত ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে।
এমনকী এলাকার তৃণমূল পরিচালিত সাকোঁয়াঝোরা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ- প্রধান গোপাল চক্রবর্তী তৃণমূল পরিচালিত ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। প্রশ্ন উঠছে কেন বানারহাট ব্লক হওয়া সত্ত্বেও আজও এই পার্কের দখল রাখছে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, ধূপগুড়ি ব্লক থাকাকালীন এই পার্কটি একটি মহিলা গোষ্ঠীকে লিজ দেওয়া হয়। প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে। লক্ষাধিক টাকার উপর বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে।
আরও খবর দেখুন