নদীয়া: রেল কাউন্টার (Ticket Counter) থেকে মিলছে না গন্তব্যে যাওয়ার টিকিট। কাউন্টার খোলা থাকে না বেশিরভাগ সময়। কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে দিতে হচ্ছে জরিমানা, অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।
নদীয়ার শিয়ালদহ- শান্তিপুর শাখার অন্যতম রেল স্টেশন বাথানা কৃত্তিবাস স্টেশন। হল্ট স্টেশন হওয়ার কারণে ট্রেন দাঁড়ানোর সংখ্যাটাও কম। তবে এই রেল স্টেশন থেকে এবার মিলছে না গন্তব্যে যাওয়ার টিকিট, এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। যদিও শান্তিপুর রেল স্টেশনের তত্ত্বাবধানেই চলে স্টেশনটি। সেখানে সরকারি কোনও রেলের স্টাফ না থাকায় চুক্তিভিত্তিক এলাকারই এক ব্যক্তি সত্যপ্রিয় দাসকে টিকিট দেওয়ার বরাত দিয়েছেন। তবে তিনি তাঁর কর্ত্যবে গাফিলিতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিত্যযাত্রীদের। তবে এই স্টেশনের উপর নির্ভর করেন শান্তিপুর এবং ফুলিয়া এই দুই স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকার বহু মানুষ। টিকিট না পেয়ে রীতিমতো বিনা টিকিটেই করতে হচ্ছে ট্রেনযাত্রা আর চেকার ধরলেই দিতে হচ্ছে মোটা অংকের জরিমানা। শুধু তাই নয় টিকিট না থাকায়, কেও রানাঘাট গেলে তাঁকে বেশি ভাড়ায় নিতে হচ্ছে কল্যাণীর টিকিট, আবার কেও বনগাঁ গেলে তাঁকে দেয়া হচ্ছে গোপাল নগরের টিকিট। তাতেই আরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ নিত্য যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: বীরভূমে সরকারি অনুষ্ঠানে গরহাজির মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা
তাঁদের দাবি, এখানে টিকিট আনা হয় শান্তিপুর স্টেশন থেকে প্রিন্ট করে। কোনও কম্পিউটার সিস্টেম নেই কাউন্টারে। প্রিন্টেড টিকিটে স্ট্যাম্প মেরে চলছে টিকিট দেওয়া। দাবি, অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষ এই স্টেশনে আধুনিক টিকিট মেশিন বা ইউটিএস ব্যবস্থা চলু করুক। এই ঘটনা স্বীকার করেছেন ওই টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সত্যপ্রিয় দাসের স্ত্রী। তিনি কাউন্টারে না থাকায় তাঁর স্বামীর কাজ করছেন তিনি। এবিষয়ে শান্তিপুর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তুষারকান্তি দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে উনি বুকিং সুপারভাইজার বিষয়টি জানেন বলে দায় এড়িয়েছেন। বুকিং সুপারভাইজার কুমার হেমব্রম জানান, এই বিষয়ে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করা হবে। যদিও এই ঘটনায় শান্তিপুর শাখার রেল যাত্রী সমিতির প্রেসিডেন্ট নিখিল মজুমদার জানান, ওই স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে না। অভিযোগ আসার পর তাঁরা রেলের অধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাতে যাত্রী পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন না ঘটে সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
আরও খবর দেখুন