আলিপুরদুয়ার: বাঘের আতঙ্কে অঘোষিত বনধ চলছে ডুয়ার্সের (Duars) ফালাকাটা (Falakata Block) ব্লকের ধনীরামপুর ২ অঞ্চলের চাঁদনিকুড়া এলাকায়। বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না, শিশুদের একলা ছাড়ছেন না অভিভাবকরা, এমনকি বিদ্যালয়েও পাঠাচ্ছেন না বাঘের ভয়ে।
জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে অর্ধদিবস ছুটি, তার উপর চিতাবাঘের আতঙ্ক, ফলে পড়ুয়া শূন্য বিদ্যালয়। চাঁদনিকুড়া জুনিয়র হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ কেশবচন্দ্র রায় বলেন, আজ অর্ধদিবস ছুটি, তার উপর বাঘের ভয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র একটি চিতাবাঘ নয়, সপরিবারে বাঘের আগমন ঘটেছে এলাকায়। বুনো আগন্তুকের ছানাদের দেখাও পেয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: কামারহাটিতে শিশু খুন, উত্তেজনা
গ্রামের বাসিন্দা দীপা রায় বলেন, গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ পাটক্ষেত থেকে উঠে আসে বাঘের দুটি বাচ্চা। লোকজন তাড়া করায় আমাদের বাড়ির পেছনে বাঁশঝাড়ের তলা দিয়ে আবার পাটক্ষেতে ঢুকে পড়ে। বাঘের ভয়ে পোষ্য প্রাণীদের নিরাপদে রাখতে গোয়াল ঘর বেশ শক্তপোক্ত করে মেরামত করছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসী সুবল রায় বলেন, বাঘের বাচ্চার দেখা পাওয়া গেছে, মনে হয় বাঘ আশেপাশেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সকালে চিতাবাঘ দেখতে পান পেশায় কৃষক গ্রামবাসী সুবল রায়। তার উপর চিতাবাঘ হামলা চালালে তিনি জখম হয়ে পড়েন। বর্তমানে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
সন্তান সহ বাঘের উপস্থিতি বনকর্মীদের নজরে পড়েছে কি না জানা যায়নি। তবে এলাকায় বাঘের গতিবিধি বুঝতে বনকর্মীরা লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছেন। এইদিন সকালে বনকর্মীরা এলাকায় এসে টহল চালিয়েছেন। সন্তান সহ চিতাবাঘকে পাকড়াও করা কঠিন। চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতা হয়েছে। চার হাজার টাকার বিনিময়ে নেওয়া একটি ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও খবর দেখুন