পুরুলিয়া: কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না বাঘিনীকে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির (Jhargram) পর এবার পুরুলিয়ায় (Purulia) বাঘের (Tigress) আতঙ্ক। বেলপাহাড়ি (Belpahari) থেকে বাঘিনী ঢুকল বান্দোয়ানের জঙ্গলে। রবিবার সিরুগাড়ুর জঙ্গলে অবস্থান বাঘিনীর। তার খোঁজে তল্লাশি জারি বনদফতরের। শনিবারই ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশাসনও এই বিষয়ে সতর্ক করে। বিশেষজ্ঞ টিম আনা হয় পড়শি রাজ্য থেকেও। বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রাইকা পাহাড় অঞ্চলে বাঘিনী এখন রয়েছে। পুরুলিয়া জেলা বন দফতরের আধিকারিক, কর্মীরা ঘটনাস্থলে। আরও ঘন অরণ্য এবং আরও উঁচু পাহাড়ে চলে যাওয়ায় বাঘটিকে ধরা আরও কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল বন দফতরের পক্ষে। যদিও চেষ্টার খামতি নেই। সেখানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঘের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুরুলিয়া জেলা বন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে।
জ়িনাত তার উপস্থিতির আভাস দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার ঠিকঠাক নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য দিকে, বাঘটির গন্তব্য এখন পুরুলিয়া শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা। শনিবারই বাঘিনীর গতিবিধি মাপতে সুন্দরবন এবং গুয়াহাটি থেকে আটজন বিশেষজ্ঞ আসেন বেলপাহাড়িতে। ট্র্যাকার দিয়ে চলে নজরদারি। শনিবার বাঘটি কাঁকড়াঝোড়ের দিকে গিয়েছিল। বনদফতর ময়ূরঝর্ণা, জুজারধারা, মেনিয়ারডি, জবালা, ওড়লি, ছুড়িমারা, দলদলি, আমলাশোল, কাঁকড়াঝোড় গ্রামে চরম সতর্কতা জারি করে। এলাকায় মাইকিং করা হয়। এই সব গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে ঢুকতে গ্রামবাসীদের নিষেধ করা হয়। সব লজ এবং হোমস্টেকেও সতর্ক করা হয়। পর্যটকদের জঙ্গলে ঢুকতে নিষেধ করা হয়।
আরও পড়ুন: নৈহাটির বড় মার পুজোর নামে প্রতারণা, গ্রেফতার অভিযুক্ত
দেখুন অন্য খবর: