কলকাতা: দলের রদবদল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। শুধু কী তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠদের’ বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। এর আগে তিনি অভিষেককে পূর্ণ সময়ের পুলিশ মন্ত্রী হিসাবে দেখার দাবি তুলেছিলেন। দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের (TMC Working Committee) পরদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি কোনও যোগ্যতা নেই? কেন কেউ অভিষেককে কোণঠাসা করবে? আর কেউ সেটা করলেও তা আমাকে মেনে নিতে হবে? তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে যারা রয়েছেন তারা মমতাকে ভুল বোঝাতে চেষ্টা করছেন, ঘেরাটোপে রাখতে চাইছেন, ভবিষ্যতে তাঁরা জবাব পাবেন। ভয়ডরহীন বিধায়কের সাফ কথা, ‘জবাব চাইবে? দিয়ে দেব’।
সোমবার তৃণমূলের কর্মসমিচির বৈঠক থেকে তৃণমূলনেত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, দলবিরোধী কাজ বা আলটপকা মন্তব্য করলে কাউকে রেয়াত নয়। তিনটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়া হয়েছে। সংসদ, বিধানসভা এবং দলের কার্যক্রমে দলীয় নীতি লঙ্ঘন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেতৃত্ব। সংসদ, বিধানসভা এবং দলের কার্যক্রমে দলীয় নীতি লঙ্ঘন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেতৃত্ব। তিনটি আলাদা কমিটি থেকে তিনটি চিঠি গেলে, সংশ্লিষ্ট নেতাকে সাসপেন্ড করা হবে। আগামিকালের বৈঠক থেকে স্পষ্ট ২০২৬ এর আগে দলের রাশ নিজের হাতেই রাখতে চান মমতা। এরপরই মঙ্গলবার অভিষেকের হয়ে ব্যাটিং করলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর মতে অভিষেকই দলের ভবিষ্যৎ। মমতার ঘনিষ্ঠরা কতটা তাঁর ভাল চান, সন্দেহ আছে। ফিরহাদ হাকিমকে মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ ক’বার মিটিং করেছেন?’ প্রশ্ন হুমায়ুন কবীরের। যদিও দলনেত্রীর উপর আস্থা রাখার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। নাম না করে হুমায়ুনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নির্বাচনে নামুক। তারপর জিতে দেখাক। বুঝে যাব।
আরও পড়ুন: কলেজের ফাঁকা আসনগুলিতে ফের ভর্তির নির্দেশ উচ্চশিক্ষা দফতরের
নিজের খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের নাম উল্লেখ করে ভরতপুরের বিধাকয় বলেন, দলের কিছু প্রভাবশালী নেতাদের দাপটে আমি মুর্শিদাবাদে বেঁচে নাও থাকতে পারি। মার্ডার হয়ে যেতে পারি। যখন দেখবে আমার মুখ বন্ধ করতে পারছে না, তখন মেরে ফেলবে। হুমায়ুনের মন্তব্যে পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, ওনার কোনও বক্তব্য থাকলে দলের নেতাদের কাছে জানাবেন। অকারণে বাজার গরম করার কোনও অর্থ হয় না।
অন্য খবর দেখুন