রায়গঞ্জ : শনিবার হেমতাবাদের (Hemtabad Case) ধোয়ারই এলাকায় বিট্টু ক্ষেত্রি নামের এক যুবকের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নাটকীয় মোড়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের যুবনেতাকে। ধৃতের নাম জাহিদূর রহমান। বাড়ি হেমতাবাদের ভাতসিয়া এলাকায়। ধৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী দোলেনা খাতুন বাঙ্গালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতসিয়া এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বেশকিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ওই দিনের ঘটনার আগে অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করেন মৃত বিট্টু ক্ষেত্রি। এদিন অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ (Raiganj Court) জেলা আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতে নিতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার ধোঁয়ারই এলাকায় এক ব্যক্তির খড়ের গাদার মাঝে জ্বলছে স্কুটি সহ এক ব্যক্তি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ধীরে ধীরে আশেপাশের মানুষ সেখানে ভিড় জমান। ঘটনাস্থলে যান হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল ব্যানার্জি সহ পদস্থ কর্তারা। দেহটি পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ দেহ, স্কুটি ও আনুসাঙ্গিক নমুনা উদ্ধার করে পাঠিয়েছে পরীক্ষার জন্য। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। জানা গিয়েছে মৃতের নাম বিট্টু ক্ষেত্রি। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাঙালবাড়ি এলাকায়।বাড়িতে তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছে। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছিল, ঘটনার আগের দিন শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিট্টু। সাধারণ ভাবেই বাড়ি থেকে তিনি বেড়িয়েছিলেন রাত আটটা থেকে সাড়ে আট টা নাগাদ। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। রাতে থানায় মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল। এরপর সকালে প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা। হেমতাবাদ থানার ধোয়ারই এলাকায় খড়ের পালার মাঝে স্কুটি সমেত বিট্টুর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুরো শরীর পুড়ে গিয়েছে তার। পুলিশ দগ্ধ দেহ ও স্কুটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় সবজি ব্যবসায়ীদের উপর জুলুমবাজি!
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিট্টু গাড়ি কেনা বেচা করতেন। সাথে সুদের কারবার ছিল তার। গত দুদিন আগে টাকা পয়সা নিয়ে ফোনে ঝামেলা হচ্ছিল তার৷ কি কারনে এমন ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয়। তবে বিট্টুকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। পরিবারের পক্ষ থেকে হেমতাবাদ থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত নেমে জাহিদুর রহমানের নাম উঠে আছে। জাহিদুর বাঙ্গাল বাড়ি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। জিজ্ঞাসাবাদে তার কথায় গরমিল থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়ে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয় জাহিদুর রহমানকে। ১৪ দিনের রিমান্ড দাবি করেছে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন
