কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে সত্যের জয় দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল (Trinamool)। শাসকদল বলছে, ইডি, সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে যারা নির্বাচিত রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব করতে চায়, আদালতের পর্যবেক্ষণ তাদের একটা বড় শিক্ষা দিল। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, এতে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। এটা শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ মাত্র। কোনও রায় নয়। আদালত এমন কিছু বলেনি যে, তৃণমূল তার জন্য আনন্দ করতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তের জেনারেল কনসেন্ট বা ঢালাও ছাড়পত্র রাজ্য সরকার না দিলেও ওই সংস্থা একের পর এক মামলায় এফআইআর করে রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই। এর বিরুদ্ধে তিন বছর আগেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছিল, সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তার পর্যবেক্ষণে রাজ্যের সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছে। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ মনে করে, রাজ্য সরকারের এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এফআইআর করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে সিবিআইয়ের। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ অগাস্ট।
আরও পড়ুন: সিবিআই নিয়ে কেন্দ্রের অপব্যবহার, রাজ্যের মামলায় মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের
এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূল তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে না। দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, আমরা কেন্দ্রের এই আচরণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। তারা আজ যে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে, তাতে ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্র এবং মমতা সরকারের জয় হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) বলেন, রাজ্যের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাই। শীর্ষ আদালত বলেছে, রাজ্যের অভিযোগের যুক্তি আছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। আর তৃণমূলের মনে রাখতে হবে, এটা কোনও রায় নয়, পর্যবেক্ষণ মাত্র।
অন্য খবর দেখুন