ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মোডিজ রেটিং এজেন্সির মতে, এর ফলে চিন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কৌশলগত খাতে বিনিয়োগে বিধিনিষেধের ফলে এশিয়ার দেশগুলি বিশেষ করে ভারতের অর্থনীতি আরও একটু চাঙ্গা হতে পারে। এই এজেন্সির রিপোর্ট বলছে যে, ট্রাম্পের চিন-নীতির ফলে চিনের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অর্থনীতি, বাণিজ্য, জলবায়ু এবং ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সুরক্ষিত বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করতে পারে। এই নীতি আমদানিকৃত কাঁচামাল ও পণ্যের উপর উৎপাদন, প্রযুক্তি, এবং খুচরা ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সেই কারণে চিনের রপ্তানি প্রভাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ট্রাম্প সমর্থকদের ধরপাকড়, গ্রেফতার!
এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন ‘আমেরিকান এনার্জি ডমিনেন্স’ নীতিতে গুরুত্ব দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে পারে। পাশাপাশি, ক্লিন এনার্জি প্রকল্পগুলির জন্য তহবিল কমানো এবং প্যারিস চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, নিয়ন্ত্রক নীতির ক্ষেত্রে, ট্রাম্প একটি সহজতর নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যাঙ্কের জন্য এই পদ্ধতি আরোপ করা হতে পারে। সার্বিকভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপ বিশ্বের অর্থনীতি এবং এশিয়ার দেশগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চিন-মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং আমেরিকার কৌশলগত খাতে বিনিয়োগে পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটেও পরিবর্তন ঘটতে পারে। এইসব কারণে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে ভারতের জন্য শুভ বলে ধরা হলেও চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দেখুন অন্য খবর: