কলকাতা: দেখে মনে হচ্ছে রণাঙ্গন। রাজপথে টহল সেনাবাহিনীর। সীমান্তরক্ষীরাও মোতায়েন মোড়ে মোড়ে। পুলিশের কড়া প্রহরাতো রয়েছেই। বাংলাদেশের (Bangladesh) পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দল আওয়ামি লিগের (Awami League) রবিবারের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। কর্মসূচি না করতে মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিলই। তার সঙ্গে হাসিনা বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামাতরাও রাস্তা নেমে আওয়ামি লিগের কর্মীদের সঙ্গে সংঘ্ষে জড়িয়ে পড়ে। আওয়ামি লিগের কার্যালয়ের বাইরে কর্মীদের মারধর করা হয়। শনিবার রাতেই আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি রাখায় উস্কানিমূলক পোস্টার রাখার অপরাধে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকায় তাদের পরিকল্পিত বিক্ষোভের আগে প্রাক্তন আওয়ামী লিগ দলের অনেক কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রবিবার বিকাল ৩টার জন্য নির্ধারিত বিক্ষোভের আগে শহর ও অন্যান্য এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ১৯১ প্লাটুন মোতায়েন করে ঢাকা দুর্গে পরিণত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা দেশ ছাড়ার পর প্রথম কর্মসূচি আওয়ামি লিগের, পাল্টা হুঁশিয়ারি সরকারের
একটি বড় শক্তি প্রদর্শনে, কর্মী, সমর্থক এবং গোপন আস্তানায় থাকা নেতারা ঢাকায় নুর হোসেন স্কোয়ার এলাকায় জড়ো হবে বলে জানিয়েছিল। খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াত-ই-ইসলামি এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সমর্থিত সহিংস বিক্ষোভের পর ৫ আগস্ট হাসিনাকে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়। বিএনপি ও জামায়াত আওয়ামি লিগের কোনও সমাবেশ বা বিক্ষোভ করতে দেবে না বলে ঘোষণা করেছে। গুলিস্তানের মতো এলাকা, আওয়ামি লিগের সদর দফতর এবং অন্যান্য সম্ভাব্য বিক্ষোভস্থল জামায়াতে ইসলামি ও বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লিগ সমর্থকদের জমায়েত হতে বাধা দেওয়ার জন্য দখল করে রেখেছে।
দেখুন অন্য খবর: