নয়াদিল্লি: কানপুরে পাশবিক অত্যাচার। লাগাতার ধর্ষণের শিকার এক নিট পরীক্ষার্থী । অভিযোগ দুটি জনপ্রিয় কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, নির্যাতিতা যখন নাবালিকা ছিল তখন সে তার দুই শিক্ষকের কাছে ধর্ষিতা হয়।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বয়স যথাক্রমে ৩২ ও ৩৯ বছর। দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কানপুরে গিয়েছিল। সেখানেই দুই শিক্ষকের কাছে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়। সেই সঙ্গে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে গতমাসেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ফুটেজে অপর এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসে। সেই ছাত্রী সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই নির্যাতিতা সাহস করে অভিযোগ দায়ের করেন। আপাতত দুই অভিযুক্তই পুলিশি হেফাজতে।
আরও পড়ুন:ভয়ঙ্কর সৌরঝড়! ব্যহত সমস্ত রেডিও সিগন্যাল, আর কী কী প্রভাব?
২০২২ সালের নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নির্যাতিতা কানপুরে কোচিং সেন্টারে নাম নথিভুক্ত করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সব ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে একসঙ্গে দেখা হবে এই অজুহাতে জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক সাহিল সিদ্দীকি(৩২) নির্যাতিতাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছে সে দেখতে পায় পুরো ফ্ল্যাট ফাঁকা। নির্যাতিতার অভিযোগ সিদ্দীকি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তাঁকে ধর্ষণ করে। লোক জানাজানি হলে পরিবারকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। এইভাবে আরও অনেকবার বাড়িতে ডেকে তার ওপর নির্যাতন চালাত ওই শিক্ষক। ভিডিয়ো তুলে রাখত সে। অনেক সময় তাঁকে বাড়িতে ডেকে পার্টিতে অন্যান্যদের এনটারটেন করতে বাধ্য করত।
এই রকম একটি পার্টি চলাকালীন বিকাশ পরওয়াল নামে অপর এক শিক্ষকের কাছে ধর্ষিতা হয়। হোলির সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা, তাঁকে ফিরে আসার জন্য হুমকি দেয় সাহিল সিদ্দীকি। শুক্রবার সিদ্দীকি ও পরওয়ালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই রাতে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।
সহকারি পুলিশ কমিশনার অভিষেক পান্ডে জানান, ওই ছাত্রী একাধিক অনুষ্ঠানে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই শিক্ষকের নামে। শনিবার দুজনকেই আদালতে পেশ করা হয়।
দেখুন অন্য খবর: