নয়াদিল্লি: বিচারাধীন বন্দির (Under Trial) ক্ষেত্রে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার আইনি ধারার ব্যবস্থা পিএমএলএ (PMLA) আইনেও প্রযোজ্য। অভিমত সহ জামিন অভিযুক্তকে। বালি পাচারকারী ও আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাদশা মজিদ মালিককে জামিন মঞ্জুর করে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)।
অভিযোগ অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদের তিনভাগের একভাগ অভিযুক্ত বন্দি হিসেবে কাটিয়েছেন। ২০২৩ সালের ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ৪৭৯(১) ধারা অনুযায়ী। সেই সূত্রেই জামিন মঞ্জুর বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনকারীদের রাজাকার বললেন হাসিনা পুত্র
বিজয় মদন লাল চৌধুরী মামলার রায় অনুযায়ী পিএমএলএ আইনে অভিযুক্তকে ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৪৩৬-ক ধারা অনুযায়ী প্রাপ্য সুবিধা দেওয়া যায়। কারণ পিএমএলএ আইন কার্যকর হওয়ার পর ৪৩৬-ক ধারা আসে। সেই কারণেই ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহীতার ৪৭৯-এক ধারা অনুসারে অভিযুক্তকে জামিন প্রদান।
অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া না হয়ে থাকলে, বিচারাধীন বন্দি যদি সর্বোচ্চ মেয়াদের অর্ধেক সময় বন্দি থাকেন সেক্ষেত্রে ওই ৪৭৯-ক ধারার সুবিধা দেওয়া যায়। অথবা ওই ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজার তিন ভাগের এক ভাগ সময় বন্দী থাকলে, প্রথম বার অভিযুক্তকে(যার বিরুদ্ধে অতীতে অভিযোগ নেই) জামিনে ছাড়া যায়। অভিমত আদালতের।
লাল বালির চোরাকারবার চালিয়ে উপার্জিত অর্থ জাল নথির সাহায্যে পাচার ও একই সঙ্গে বেআইনি কাজকর্ম ঢাকতে ভুয়ো কোম্পানির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালিকের বিরুদ্ধে। বোম্বে হাইকোর্টে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ হয়।
দেখুন অন্য খবর: