কলকাতা: মহারাষ্ট্রে মহাজোট সংকটে। বিজেপি ত্যাগী নবাব মালিকে অজিত পাওয়ারের (Ajit Pawar Campaigns Nawab Malik) দল মানখুর্দ শিবাজি নগর থেকে প্রার্থী করেছে। এতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে জোট শরিক দল বিজেপি। প্রার্থী হওয়ার পর মালিক বলেছিলেন অজিত পাওয়ার চেয়েছিলেন আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আমার বিরোধিতা করার অধিকার বিজেপির আছে। শিবাজি নগরের মানুষ আমাকে সমর্থন করে। শিবসেনা এবং বিজেপি সহ মহাযুতি জোটের দলগুলি নবাব মালিকে প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিল। দুই তার পক্ষে প্রচার করতে অস্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার মানখুর্দ শিবাজি নগর থেকে দলীয় প্রার্থী নবাব মালিক (Nawab Malik) এবং অনুশক্তি নগর থেকে সানা মালিকের পক্ষে প্রচারে নেমেছিলেন। জোট সঙ্গীদের আপত্তি উড়িয়ে অজিতের প্রচার ভালো ভাবে নিচ্ছেনা শরিকরা। মনে করা হচ্ছে মহারাষ্ট্রে ভাঙনের মুখে শাসক মহায়ুতি জোট।
গত কয়েক বছরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি আমূল বদলে গিয়েছে। শিব সেনা, এনসিপি দুই শিবিরে ভেঙে গিয়েছে। যে জোট তৈরি হয়েছে যা আগে ভাবাও যেত না। স্বাভাবিকভাবেই আসনরফা নিয়ে শুরু থেকেই ঝামেলায় পড়তে হয়েছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরকে। বিশেষ করে উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির কাছে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নবাব মালিক। বিজেপির অভিযোগ, কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগ রয়েছে নবাব মালিকের। তাই তারা তাঁকে সমর্থন করবে না। তারপরও অজিত পাওয়ারের দল বিজেপি ও শিন্ডেসেনার সঙ্গে জোটে থাকার পরও তাদের আপত্তি উড়িয়ে নবাব মালিককে টিকিট দেয়। উল্লেখ্য, অনুশক্তি নগরের বর্তমান বিধায়ক নবাব মালিক। এবার অনুশক্তি নগরে তাঁর মেয়ে সানাকে প্রার্থী করা হয়েছে। ওই আসনে শিন্ডেসেনা ও বিজেপি নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে। মানখুর্দ-শিবাজি নগর থেকে এবার নবাব মালিককে প্রার্থী করা হয়েছে। এরফলে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে এনসিপি। ঘরোয়া কোন্দল প্রকট হয়েছে তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, আদৌ এই জোট কতদিন টিকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে এনসি-কংগ্রেস জোট সরকার কতদিন স্থায়ী হবে?
নবাব মালিকের প্রচারে মহাযুতি জোটের বয়কটের মধ্যে, অজিত পাওয়ার যুক্তি দিয়েছিলেন যে দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত মালিককে দোষী বলে মনে করা উচিত নয়। নবাব ভাই এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু যতক্ষণ না সেগুলি প্রমাণিত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে দোষী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। প্রচারে নেমে অজিত পাওয়ার বলেন,জনসাধারণের প্রতি আস্থা রয়েছে। আমি সানা এবং নবাব ভাইয়ের সমাবেশে যোগ দিয়েছি। সাধারণের উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি। এখানে সব শ্রেণীর মানুষ জড়ো হয়েছে, এবং আমরা তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত যে আমরা জয়ী হব। উভয় আসনে। পাওয়ার আরও জোর দিয়েছিলেন যে ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই মহারাষ্ট্রের জন্য এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়। এই সরকারে থাকাকালীন, আমি সংখ্যালঘুদের সমর্থন করার জন্য বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
এনসিপি প্রার্থী নবাব মালিক বলেছেন ,যে নির্বাচনের ফলাফল অবিস্মরণীয় হবে। বিজেপি এবং শিবসেনা বিরোধিতা সত্ত্বেও আমাকে সমর্থন করার অজিত পাওয়ারের সিদ্ধান্ত জনগণকে প্রশংসিত করেছে। এই নির্বাচনের ফলাফল স্মরণীয় হবে। এবং আমরা লড়াই করব। প্রথমে ভেবে ঠিলাম নির্বাচনে লড়াই করব না। কিন্তু কয়েক মাস ধরে দেখলাম মানুষ চাইছে তাদের পাশে আমি দাঁড়াই। মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে ভোটের ময়দানে নামলাম। সানা মালিক বলেন,আমরা শুধু আমাদের কাজের ভিত্তিতে ভোট চাইছি। আমার বাবা ক্রমাগত প্রচার করেন যে তিনি মানুষের সাথে গড়ে তুলেছেন সম্পর্কের ভিত্তিতে,” সানা মালিক এএনআইকে বলেছেন।
অন্য খবর দেখুন