ওয়েবডেস্ক- দিঘায় (Digha) গড়ে ওঠা জগন্নাথ মন্দিরকে ধাম (Jagannath Temple Dham) আখ্যা নিয়ে চরমে বিতর্ক। এই বিতর্ক পৌঁছে গেল আদালত পর্যন্ত। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ধাম আখ্যা এবং প্রসাদ বিতরণকে চ্যালেঞ্জ করে ফের জনস্বার্থ মামলা (Public interest litigation) দায়ের এর আবেদন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) । মামলা দায়েরের মৌখিক অনুমোদন কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি সৌমেন সেনের (Justice Soumen Sen) ডিভিশন বেঞ্চের।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে জগন্নাথ ধাম আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। তাদের দাবি ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে চারটি ধাম রয়েছে। হিন্দুদের এটা আবেগের বিষয়। নতুন করে ধাম আখ্যা দেওয়া যায় না তাহলে এই দিঘার ধাম নাম পরিবর্তন করা হোক। প্রসাদ প্রভুর নামে বিতরণ করা হচ্ছে সেটাও হালাল প্রসাদ। এই প্রসাদ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সেটাই বদল আনা হোক। হিন্দু ধর্মালম্বি মানুষের মনোভাবে আঘাত না করে এই ধরনের প্রসাদ দেওয়া হোক। মামলা দায়ের হলে চলতেই সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ল ভর্তির সময়সীমা, কতদিন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে পড়ুয়ারা?
উল্লেখ্য, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে বিতর্ক আর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। দিঘায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। উদ্বোধনে এসেছিলেন পুরীর জগন্নাথ ধামের দয়িতাপতি রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দয়িতাপতি । এর পরেই তাঁকে বরখাস্ত করে ‘শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এসজিটিএ) ৷ আগামী ৩০ দিন তিনি শ্রীমন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আগেও দিঘা মন্দির নির্মাণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়ে হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে । হিডকোর টাকায় মন্দির নির্মাণ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারী। কিন্তু সেই সময় প্রধান বিচারপতি রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবেন না বলে নির্দেশ দেন।
দেখুন আরও খবর-