পাটনা: গতকাল রাতেই পাটনার গর্দানীবাগ থানার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন জনপ্রিয় শিক্ষক এবং ইউটিউবার খান স্যার। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন খান স্যারকে আটক করা হয়েছিল? আসলে, বিহারের সিভিল সার্ভিসের চাকরিপ্রার্থীরা নতুন ‘নর্মালাইজেশন’-এর প্রতিবাদে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। গতকাল রাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন খান স্যার। সেখানে তিনিও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হন। সেখান থেকেই খান স্যারকে আটক করে গর্দানীবাগ থানার পুলিশ। তবে তারপরই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এমএস খান জানান, “প্রতিবাদী পরীক্ষার্থীদের এই জায়গা খালি করে দিতে হবে। খান স্যারকে পুলিশ আটক করেছিল এবং এখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, তিনিও এই জায়গা ছেড়ে চলে যাবেন। আমি জানি না যে তিনি কোথায় যাবেন এবং কোথায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। ভিতরে কেউই নেই। ধর্ণাস্থল ছেড়ে দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে নীরব কংগ্রেস: মায়াবতী
তবে আটকের সময়ে খান স্যার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে এই আন্দোলন কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। তিনি সেই সময় বলেন, “আমরা এটাই চাই যেন বিপিএসসির সভাপতি নর্মালাইজেশন পদ্ধতি প্রত্যাহারের বিষয়ে নিশ্চিত করুক পরীক্ষার্থীদের। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটাই শিফট, একটাই প্রশ্নপত্রে যেন পরীক্ষা হয়। আমরা কোনোভাবেই রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছি না। সংবিধানের নিয়ম মেনে ধর্নাস্থলেই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। নর্মালাইজেশন হতে দেওয়া যাবে না কোনোভাবেই।” আবার থানা থেকে ছাড়া পেয়ে খান স্যার জমায়েতে যান। সেখানে তিনি আবার জানান, “বহু পড়ুয়া আবেদন করা সত্ত্বেও সেই আবেদন গৃহীত হয়নি সার্ভারের সমস্যার কারণে, তাদের আরেকবার সুযোগ দিতে হবে। পরীক্ষার দিন বা সময়সীমা বাড়াতে হবে। একটাই শিফট, একটাই পরীক্ষা এবং একটাই প্রশ্নপত্র করতে হবে। কোনোভাবে পরিকাঠামোর দরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের সময় নষ্ট হলে তাদের অতিরিক্ত সময় দিতে হবে।” এখন এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যায়, সেটাই দেখার।
দেখুন আরও খবর: